Advertisement
E-Paper

ভারত-জাপানের দোস্তি বাড়িয়ে দিল চিন! দাবি বিশেষজ্ঞের

‘দাদাগিরি’ করতে গিয়ে নিজেকে একঘরে করে ফেলেছে চিন! বিপক্ষকে দলে ভারী করে ফেলেছে! সমুদ্রের দখলদারি চেয়ে চিন পাঞ্জা দেখানোয় এশিয়ার দু’টি বড় দেশ ভারত আর জাপান আবার কাছাকাছি চলে এল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৬ ১৬:৩৫
বড় কাছাকাছি! ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।-ফাইল চিত্র।

বড় কাছাকাছি! ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।-ফাইল চিত্র।

‘দাদাগিরি’ করতে গিয়ে নিজেকে একঘরে করে ফেলেছে চিন!

বিপক্ষকে দলে ভারী করে ফেলেছে!

সমুদ্রের দখলদারি চেয়ে চিন পাঞ্জা দেখানোয় এশিয়ার দু’টি বড় দেশ ভারত আর জাপান আবার কাছাকাছি চলে এল।

দক্ষিম চিন সাগরে পাঞ্জা লড়তে চাইছে চিন। আর তাতেই কাছাকাছি এসে গেল ভারত আর জাপান।

আবার এশিয়ার দু’টি বড় দেশের কাছাকাছি এসে পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বেজিঙের হঠাৎ করেই ‘ভাব-ভালবাসা’ বেড়ে গেল ‘শত্রু দেশ’ ভারতের চার প্রতিবেশী- শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর মায়ানমারের ওপর।

বস্তুত, দক্ষিণ চিন সাগরের ‘জমিদারি’ নিয়ে বেজিঙের জেদাজেদিই নিজেদের সম্পর্ককে সহজতর করে তোলার প্রয়োজন কতটা, তা অনুভব করতে সাহায্য করেছে দিল্লি আর টোকিওকে।

সম্প্রতি ‘আল-জাজিরা’ সংবাদপত্রে লেখা তাঁর একটি নিবন্ধে তাঁর এই মতামত জানিয়েছেন টোকিওয় ‘জাপান ফোরাম ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে’র বিশিষ্ট ভারতীয় গবেষক রূপকজ্যোতি বোরা।

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যেকার আরও অনেক সমীকরণকে আমূল বদলে দিয়েছে।

শুধু ভারত আর জাপানকেই নয়, ওই ‘দুই হাত’-এর সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে আরও ‘দুই হাত’- অস্ট্রেলিয়া আর আমেরিকাকে।

বোরার বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণ চিন সাগর আর ভারত মহাসাগরে বেজিং তার আধিপত্য নিরঙ্কুশ করতে চাওয়ায় যেমন ভারত, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগ বেড়েছে, তেমনই পেন্টাগনও বুঝেছে, ওই সাগরে চিনের মুঠো পাকানো দেখেও চুপ করে বসে থাকলে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় তার ‘বন্ধু দেশ’গুলি হতাশ হয়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিই দক্ষিণ চিন সাগরে পাকাপাকি ভাবে মার্কিন রণতরী মোতায়েন রাখার ব্যাপারে পেন্টাগনকে উৎসাহিত করেছে।’’

আরও পড়ুন- রেডহ্যান্ডেড! স্বামী, বোনকে নগ্ন অবস্থাতেই রাস্তায় বের করে দিলেন স্ত্রী

চিনকে সামলাতে ভারত আর জাপান যে কাছাকাছি আসতে চাইছে, তার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?

ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছে, মূলত সেই লক্ষ্যেই বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারত-জাপান যৌথ সহযোগিতায় গড়ে উঠতে চলেছে ১৫ মেগাওয়াটের একটি ডিজেল বিদ্যু্ৎ কেন্দ্র। বেজিং তার আধিপত্য কায়েমের জন্য অনেক দিন ধরেই ভারত মহাসাগরকে টার্গেট করায় কৌশলগত ভাবেই ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোর জন্য আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে বেছে নিয়েছে ভারত আর জাপান। ওই এলাকার ওপর দিল্লি-টোকিওর যৌথ নজরদারি থাকলে মলাক্কা প্রণালীতে বেজিঙের ঘাঁটি গাড়ার ইচ্ছাটা খুব সহজে বাস্তবায়িত হবে না। আবার দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিঙের দাদাগিরি বেড়ে যাওয়ায় গত দু’-তিন বছরে ফিলিপিন্স, কাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড আর ভিয়েতনামের অনেক বেশি কাছে নিয়ে এসেছে জাপানকে।

china india japan south chinasea relations rupakjyoti bora
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy