Advertisement
E-Paper

কোভিডের ওষুধ নিয়ে ফাইজ়ারের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে চিন! বেজিংয়ে তৈরি হবে করোনার ট্যাবলেট?

রয়টার্স সূত্রের খবর, ফাইজ়ারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে চিন। করোনা চিকিৎসার প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট চিনে উৎপাদন এবং সরবরাহ করা হবে কি না তা নিয়ে কৌতূহল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৪
২২ জানুয়ারি চিনে ‘লুনার নিউ ইয়ার’ শুরু হবে। তার আগেই ফাইজ়ারের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় এনএমপিএ।

২২ জানুয়ারি চিনে ‘লুনার নিউ ইয়ার’ শুরু হবে। তার আগেই ফাইজ়ারের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় এনএমপিএ। ফাইল চিত্র।

গত বছরের শেষ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চিনে। করোনার নয়া উপরূপ বিএফ.৭-এর দাপটে চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সে দেশে। চিনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন বিশ্বের অন্যান্য দেশও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ফাইজ়ার’-এর সঙ্গে চিন কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

করোনা চিকিৎসার প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেটের লাইসেন্স নিয়ে ফাইজ়ারের সঙ্গে কথা বলছে চিন। স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা যেন আমেরিকার অনুমতি নিয়ে প্যাক্সোলোভিড ট্যাবলেট সে দেশে উৎপাদন করতে পারে, সেই পরিকল্পনাই রয়েছে চিনের। রয়টার্স সূত্রের খবর, চিনের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এনএমপিএ) গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই ফাইজ়ারের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ২২ জানুয়ারি চিনে ‘লুনার নিউ ইয়ার’ শুরু হবে। তার আগেই ফাইজ়ারের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় এনএমপিএ।

আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটির এই দাবি, যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে ফাইজ়ারের তৈরি প্যাক্সলোভিড। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকটাই। এই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সে দেশের একাধিক গবেষণা। তাই যত দ্রুত সম্ভব, এই ওষুধ দেশে আনানোর ব্যবস্থা করছে চিন।

প্রসঙ্গত, চিন সরকার করোনা আক্রান্ত রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে না বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু-র দাবি, করোনার নতুন উপরূপের কারণে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, সে নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। হু’র ইমার্জেন্সি ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন, চিনে বর্তমানে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষত, হাসপাতালে কত সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছে, আইসিইউতে কত জন রয়েছেন, কত মৃত্যু হয়েছে— এই পরিসংখ্যানগুলি যথাযথ ভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও সমালোচনার শিকার হয়েছে চিন। এখন ফাইজ়ারের তরফে প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট উৎপাদন এবং সরবরাহের চুক্তি সম্পন্ন হয় কি না, সে দিকে নজর রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির।

Covid in China China Pfizer Paxlovid Covid COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy