—প্রতীকী চিত্র।
নিজের এবং স্ত্রীর জন্য প্রথম শ্রেণির টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু শিশু সন্তানের জন্য কোনও টিকিটই কাটেননি বাবা-মা। একরত্তি পুত্রকে ইকোনমি ক্লাসে বসিয়ে নিজেরা বসে পড়েছিলেন ‘ফার্স্ট ক্লাস’-এ। বাবা-মাকে না পেয়ে কান্না জুড়ে দেয় ছেলে। এরপরেই বাবা দাবি করেন, ছেলেকেও প্রথম শ্রেণিতে বসতে দিতে হবে! তাতে রাজি হননি বিমানকর্মীরা। সেই নিয়ে তিন ঘণ্টা টানাপড়েনের পর বাতিল করে দেওয়া হল বিমান। আর তার জেরে ৩০০ জন যাত্রীকে নতুন করে টিকিট কাটতে বাধ্য করল বিমান সংস্থা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ ডিসেম্বর চিনের চেংডু থেকে বেজিংগামী একটি বিমানে। চিনের সমাজ মাধ্যম ওয়েইবোতে ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। (আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।) তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমান কর্মীদের উপর তুমুল চিত্কার করছেন শিশুটির বাবা। তাঁর দাবি, যেহেতু তিনি ইতিমধ্যেই প্রথম শ্রেণির দু’টি টিকিট কেটেছেন, তাই আর একটি টিকিট বিনামূল্যে পাওয়া উচিত তাঁর। ভিডিয়োতে আরও দেখা গেছে, ওই উত্তেজিত যাত্রীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী, বিমানকর্মী এবং অন্য যাত্রীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করলে দ্বিগুণ চিত্কার করে তিনি বলছেন, ‘‘আমাকে এ ভাবে নির্দেশ দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের?’’
এ কথা শুনেই খেপে ওঠেন অন্য যাত্রীরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়েছে, আর সহ্য করবেন না।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ পুলিশ ডাকতে হয়। পুলিশ এসে ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়। টানা তিন ঘণ্টা পর ঝামেলা মিটলেও বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। সমস্ত যাত্রীকে নতুন করে টিকিট কাটতে বলা হয়। তাতে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বিমান সংস্থার তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় উড়ান বাতিল করা হয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ যাত্রীরা। সমাজ মাধ্যমে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে বিমান কর্মীদের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নেটাগরিকদের দাবি, এই হয়রানির জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে বিমান সংস্থার তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy