Advertisement
E-Paper

তিব্বতে হাজির জে-২০, সীমান্তে অত্যন্ত গোপনে পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন

অত্যন্ত গোপনে তিব্বতে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে চিন। হিমালয়ের কোলে ব্রহ্মস মোতায়েন করা নিয়ে চিন ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক দিন পরই তিব্বতের এক বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে চিনের জে-২০ স্টেল্থ ফাইটারকে। চিনের সবচেয়ে গোপন সামরিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই জে-২০।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৩
তিব্বতে অত্যন্ত গোপনে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিল বেজিং।

তিব্বতে অত্যন্ত গোপনে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিল বেজিং।

অত্যন্ত গোপনে তিব্বতে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে চিন। হিমালয়ের কোলে ব্রহ্মস মোতায়েন করা নিয়ে চিন ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক দিন পরই তিব্বতের এক বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে চিনের জে-২০ স্টেল্থ ফাইটারকে। চিনের সবচেয়ে গোপন সামরিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই জে-২০। তিব্বতের দাওচেং ইয়াদিং বিমানবন্দরে ওই যুদ্ধবিমান নিয়ে এসেছে চিন। স্টেল্থ ফাইটারটিকে ঢেকে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দু’টি ওয়েবসাইটে সেই ছবি প্রকাশ করে দিয়েছে।

জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার সম্পর্কে কোনও তথ্য বেজিং প্রকাশ করে না। যুদ্ধবিমানটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত, নাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে, তাও জানানো হয় না। কয়েক মাস আগে চিনের একটি বিমানঘাঁটির রানওয়েতে জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার পরই বিশ্বজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, চিনের জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার তৈরি হয়ে গিয়েছে। বেজিং সেই জল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। চিনা বিমানবাহিনীতে ওই যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে কি না, তাও জানানো হয়নি। কিন্তু তিব্বতের দাওচেং ইয়াদিং বিমানবন্দরে ওই যুদ্ধবিমান দেখা যাওয়ার পর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, জে-২০ চিনা বিমানবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ অসামরিক বিমানবন্দর দাওচেং ইয়াদিং-এর টারম্যাকে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গিয়েছে জে-২০-কে। প্রতিপক্ষ যাতে ওই স্টেল্থ ফাইটার মোতায়েন করা সম্পর্কে সচেতন না হতে পারে, তার জন্যই ক্যামোফ্লাজ ত্রিপল দিয়ে সেটি ঢেকে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আর শেষ পর্যন্ত গোপন থাকেনি।

এই ভাবেই ঢেকে রাখা হয়েছে যুদ্ধবিমানটিকে। ছবি: টুইটার।

কী বিশেষত্ব এই যুদ্ধবিমানের?

• চিনের এই যুদ্ধবিমানে দু’টি ইঞ্জিন।

• জে-২০ অত্যন্ত দ্রুতগামীও।

• যে বিমানঘাঁটিতে জে-২০ বিমানটিকে আনা হয়েছে, সেটি প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, অনেক উঁচুতেও এই যুদ্ধবিমান সহজেই কাজ চালাতে পারে।

• জে-২০ যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা হল, এটি স্টেল্থ ফাইটার গোত্রের। অর্থাৎ বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে রেডারকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে প্রতিপক্ষের এলাকায় হানা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে জে-২০ যুদ্ধবিমানের।

আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে, পেশোয়ারে মৃত ৫

লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত যে ভাবে পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে, তিব্বতে জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার মোতায়েন করাকে তার পাল্টা হিসেবেই দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। লাদাখে শতাধিক ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা বা অরুণাচলে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রাখার কথা প্রকাশ্যে আসার পর, চিন ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অরুণাচলে ভারত নিজেদের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্রহ্মস রেখেছে বলে চিনা সেনার মুখপত্রে লেখাও হয়েছিল। ভারতীয় বাহিনী অবশ্য জানিয়েছিল, নিজেদের এলাকায় সামরিক পরিকাঠামো ভারত কী ভাবে গড়ে তুলবে, তাতে অন্য কোনও দেশের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। চিন যে গোপনে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তাও এ বার স্পষ্ট হয়ে গেল।

China J-20 Stealth Fighter Indo-China Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy