Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪

মার্কিন অর্থে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ: ইমরান

আজ ইমরানের দাবি, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা যখন ঢোকে এবং তালিবানকে কাবু করতে শুরু করে, তখন পাকিস্তানের নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল।

ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৫
Share: Save:

তালিবানের মোকাবিলায় আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর পাশে থাকার প্রশ্নে তাঁদের নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ তিনি বলেছেন, যে সব জঙ্গি এক সময়ে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, এখন তারাই তাঁর দেশের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।

বিষয়টি বিশদে বোঝাতে গিয়ে ইমরান বলেছেন, ‘‘আশির দশকে আফগানিস্তানে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াই চালাতে‌ তালিবানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান। সে জন্য অর্থ জুগিয়েছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ওই সময়ে আমরা এই সব জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়তে। কারণ, রুশ প্রশাসন আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল। তাই জঙ্গিদের তৈরি করতে সিআইএ-র পুঁজি নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান।’’

আজ ইমরানের দাবি, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা যখন ঢোকে এবং তালিবানকে কাবু করতে শুরু করে, তখন পাকিস্তানের নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘সিআইএ-র মদতে যারা সোভিয়েতের বিরুদ্ধে সে দিন লড়েছিল, প্রশিক্ষণ দিলেও তাদেরই এখন সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে আমেরিকা। এক দশক পরে তালিবান এখন বলতেই পারে, মার্কিনরা আফগানিস্তানে এসেছে, এ বার ওদের কাছে আমাদের লড়াইটা আর জেহাদ নয়, সন্ত্রাস।’’ ইমরানের কথায়, ‘‘এটা একেবারেই স্ববিরোধী বিষয়। আমার ভীষণই মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের উচিত ছিল নিরপেক্ষ থাকা। কারণ, ওই গোষ্ঠীগুলো এখন আমাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।’’

নিরপেক্ষ না থাকার জন্য পাকিস্তানকেই ভুগতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান। তাঁর মতে, এ জেরে ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন এবং পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে ১০ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিতে। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘শেষমেশ আফগানিস্তানে সাফল্য না পাওয়ার দায়ও আমাদের উপরেই চাপিয়েছে আমেরিকা। এটা পাকিস্তানের জন্য একেবারেই অন্যায্য।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Taliban CIA Pakistan Terrorist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE