অ্যান্টনি ফাউচি। ফাইল চিত্র:রয়টার্স।
প্রতিষেধকের মাধ্যমে আদৌ কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব কি না, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানালেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজ়িস (এনআইএআইডি)-এর ডিরেক্টর অ্যান্টনি ফাউচি। তবে প্রতিষেধকের হদিস মিললেও সকলের নাগালে তা পৌঁছতে পৌঁছতে ২০২১ প্রায় পেরিয়ে যেতে পারে বলে মত তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেছেন, ‘‘যে প্রতিষেধকগুলি নিয়ে পরীক্ষা চলছে সেগুলো কতটা নিরাপদ এবং কার্যকরী তা নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের শুরুর মধ্যেই জানা যাবে।’’ তবে সেই আবিষ্কার বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ২০২১ সালের দ্বিতীয় ভাগ পেরিয়ে যাবে বলেই ধারণা তাঁর। তার আগে পর্যন্ত সংক্রমণ দূরে রাখতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায় বলে মত তাঁর।
সংক্রমিত হলে বা সংক্রমিতের সংস্পর্শে এলে ১৪ দিন কোয়রান্টিনের নির্দেশ রয়েছে ব্রিটেনে। যা অমান্য করলে দশ হাজার পাউন্ড জরিমানা ধার্য রয়েছে। তবে একই সঙ্গে, এই কোয়ান্টিনের সময়সীমা ১৪ দিনের থেকে কমিয়ে আনা সম্ভব কি না, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানাল ব্রিটেন সরকার। ওই সময়সীমা কমিয়ে সাত থেকে দশ দিনে নামিয়ে আনা হতে পারে বলে খবর ছড়িয়েছে। সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লিউইস বলেন, ‘‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরামর্শ পর্যালোচনার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ সাধারণ কর্মজীবীদের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভারত নোংরা! বন্ধুর সম্পর্কে এমন বলে না!’
কয়েক মাস আগে খানিকটা নিম্নমুখী হলেও ফের দ্রুত সংক্রমণের মাত্রা বাড়ায় নাগরিকদের উপর ফের একপ্রস্থ নয়া বিধিনিষেধ চাপাতে চলেছে ইটালি। সোমবার থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যে সমস্ত বার এবং রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে। বন্ধ রাখতে হবে জিম, সিনেমা হল এবং সুইমিং পুলও। পাশাপাশি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশির ভাগ পঠনপাঠনই অনলাইনে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
বিশ্বে করোনা
মৃত
১১,৫৭,৬৮২
আক্রান্ত
৪,৩২,৫৩,৩৬৬
সুস্থ
৩,১৮,২৩,২২১
প্রথমেই যে-সব দেশে সার্বিক লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল তার মধ্যে ইটালি অন্যতম। যদিও পরে সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে একে একে ইটালিকে পেরিয়ে যায় স্পেন, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো বাকি ইউরোপীয় দেশগুলি। তবে শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হারে ফের রেকর্ড ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কপালে। ওই দিন ২৪ ঘণ্টায় ১৯,৬৪৪ জন সংক্রমিত হয়েছে। যদিও অর্থনীতির বিপুল ক্ষতির কথা মাথায় রেখে এ বার আর সামগ্রিক লকডাউনের পথে হাঁটেনি প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্তে সরকার। বরং আংশিক লকডাউন এবং নাগরিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: তরজা তুঙ্গে ট্রাম্প এবং বাইডেনের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy