প্রতীকী ছবি।
কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই স্কুল-কলেজ এখন বন্ধ। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হলে অনেকেই ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আগের মতো পড়াশোনা চালু করার ভাবনা-চিন্তা করছে। কিন্তু এই শিক্ষাবর্ষের বাকি সময়ের জন্য সমস্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পথে হাঁটতে চলেছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো সাংবাদিকদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর রাস্তা তাঁদের এখনও জানা নেই। ফলে এই শিক্ষাবর্ষে তাদের স্কুল-কলেজে ফিরিয়ে আনার কোনও ঝুঁকি প্রশাসন নিতে পারছে না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চলবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর। যে সব শিশুদের বাবা-মায়েরা অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাদের রাখার ব্যবস্থাও প্রশাসন করবে বলে জানান কুয়োমো।
গোটা আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত নিউ ইয়র্কই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ। ইতিমধ্যে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি। ধীরে ধীরে সংক্রমণ আর মৃত্যুর হার কমলেও পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরানোর কথা এখন ভাবতেই পারছে না প্রশাসন। ৩০ মার্চের পরে গত কাল সবচেয়ে কম মৃত্যু দেখেছে নিউ ইয়র্ক। কিন্তু গভর্নর জানাচ্ছেন, অবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়। নিউ ইয়র্কের সঙ্গে গোটা দেশেই সংক্রমণ আর হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। তবে মোট মৃত্যু আগেই ৬৫ হাজার পেরিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন এক লক্ষের আগেই মৃত্যুমিছিল থামবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের কোভিড তথ্য নিয়ে ফের মমতাকে তোপ ধনখড়ের
আমেরিকার পাশাপাশি সংক্রমণ আর মৃত্যু কমেছে ইরানেও। ১০ মার্চের পরে গত কাল সবচেয়ে কম সংক্রমণের খবর এসেছে সে দেশ থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০২ জন। মোট সংক্রমণের সংখ্যা এখন ৯৬,৪৪৮। ইরান সরকার দাবি করেছে, ৭৭ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৫৬ জনের।
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে স্পেন, অস্ট্রিয়ার মতো বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশও। সাত সপ্তাহ পরে লকডাউন ওঠায় স্পেনের বিভিন্ন শহরে আজ ভোর থেকেই প্রাতভ্রমণের ভিড় ছিল ছিল চোখে পড়ার মতো।
যদিও পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ১২৯৭ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বাড়ছে মৃত্যুও। আপাতত ৪১৭ জন মারা গিয়েছেন সেখানে।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, দেশে মৃত্যু বেড়ে ১২২৩
এ দিকে, উহানের যে ভাইরোলজিস্টকে নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছিল, আজ মুখ খুলেছেন তিনি। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র গবেষক শি চেংগলি পরিচিত ‘ব্যাট ওম্যান’ নামে। বাদুড় নিয়ে তাঁর গবেষণার জন্যই এই নাম। শি যে পরীক্ষাগারে কাজ করেন, সেখান থেকেই গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পশ্চিমী দেশগুলো। মাঝখানে ক’দিন খোঁজ মিলছিল না এই গবেষকের। তিনি পশ্চিমের সঙ্গে মিত্রতা করেছেন বলে খবর রটেছিল চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি পোস্ট করে সব গুজব উড়িয়েছেন শি। জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার ঠিক আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy