এক পাড়ার বাসিন্দা হয়েও একে অপরকে চিনতেন না তাঁরা। কিন্তু অতিমারিই কাছাকাছি এনে দিল মার্কিন নিবাসী এক তরুণ এবং তরুণীকে। ফোন নম্বর চালাচালি থেকে প্রথম সাক্ষাৎ, আগাগোড়া তাঁদের এই প্রেমপর্বের সাক্ষী থাকল গোটা নেটদুনিয়া।
নোভেল করোনার প্রকোপে ঘরবন্দি গোটা আমেরিকা। তাই ছবি তোলা নেশা ও পেশা হলেও, বাধ্য হয়েই বাড়িতে থাকতে হচ্ছিল জেরেমি কোহেনকে। তাতে আরও বেশি করে একাকিত্ব অনুভব করছিলেন তিনি। তাই ক্যামেরা হাতে এক বিকালে বাড়ির ছাদে এসে দাঁড়ান।
একটি ওয়েবসাইটকে জেরেমি জানিয়েছেন, ক্যামেরা নিয়ে দু’একটা ছবি তোলার পরই কিছু দূরের একটি বাড়ির ছাদে নজর পড়ে তাঁর। দেখেন, বিকালের পড়ন্ত রোদে সেখানে নিজের খেয়ালে নেচে চলেছেন এক তরুণী। আশপাশের কোনও কিছুতেই ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর।
Quarantine Cutie, part 2. Her name is Tori (@toricigs) and she’s cute and kind 😌
আরও পড়ুন: করোনা সঙ্কটে অবসাদ! আত্মঘাতী জার্মান মন্ত্রী, রেললাইনে দেহ
জেরেমি জানিয়েছেন, প্রথম দেখাতেই ওই তরুণীকে ভাল লেগে যায় তাঁকে। তাই সাহস করে ওই তরুণীকে দেখে হাত নাড়েন তিনি। সেখান থেকেও পাল্টা জবাব আসে। তার পরই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ জমানোর কথা মাথায় আসে তাঁর। সেই মতো ঘরে ঢুকে নিজের একটি ড্রোন বার করেন। কাগজে নিজের ফোন নম্বর লিখে তার গায়ে সেঁটে দেন। তার পর সেটি উড়িয়ে ওই তরুণীর ছাদে পৌঁছে দেন।
ফোন নম্বর পেয়ে ওই তরুণী তাঁকে সরাসরি মেসেজ করেন বলে জানান জেরেমি। তার পরই তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার জেরে মুখোমুখি দেখা হওয়ার উপায় ছিল না। জানতে পারেন, ওই তরুণীর নাম টোরি সিগনারেলা। ভিডিয়ো কলের মাধ্যমেই প্রথম ‘ডেট’-এর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই মতো নিজের ব্যালকনিতে খাবার ও ওয়াইন নিয়ে বসেন জেরেমি। বাড়ির ছাদে খাবার নিয়ে বসেন টোরি। খেতে খেতে খোশগল্প চলতে থাকে ভিডিয়ো কলে।
আরও পড়ুন: লকডাউন নিশ্চিত করতে সীমানা সিল করুন, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের
How to date a Quarantined Cutie, Part 3.
এই ফোন নম্বর চালাচালি থেকে প্রথম ‘ডেট’, সবকিছুই ভিডিয়ো রেকর্ড করেন জেরেমি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নিয়মিত তা পোস্ট করেন তিনি, যা দেখে তাঁদের উৎসাহ দেন নেটাগরিকরা। তাতে জোর পেয়েই সম্প্রতি টোরির সঙ্গে দেখা করতে যান জেরেমি। কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকায়, নিজেকে প্লাস্টিকের ‘বাবলে’ মুড়ে নেন তিনি। সেই অবস্থাতেই পার্কে টোরির সঙ্গে পাশাপাশি হাঁটেন। টোরির জন্য ফুলের তোড়াও নিয়ে যান তিনি। গ্লাভস পরা হাতে তা গ্রহণ করেন টোরিও। তবে এখনই খুব বেশি দেখা-সাক্ষাৎ করছেন না তাঁরা। করোনার প্রকোপ কবে কাটবে, এখন সেই আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন দু’জনে।