Advertisement
E-Paper

বেজিংয়ে তীব্র হচ্ছে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’, সতর্ক করল হু

বেজিং শহর প্রশাসনের এক মুখপাত্র জু হেজিয়ান বলেছেন, ‘‘রাজধানী শহরের অতিমারি পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।’’

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ১৪:৫০
বেজিংয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় বাসিন্দারা। ছবি: এএফপি

বেজিংয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় বাসিন্দারা। ছবি: এএফপি

বেজিংয়ে করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত গুরতর’ বলে বেজিং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে গত কয়েক দিন মিলিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন। বেজিংয়ের একটি বাজার থেকে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। ওই বাজার সহ গোটা এলাকা লকডাউন করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল হারে বাড়ানো হয়েছে টেস্টের সংখ্যা।

চিনের উহান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেই উহানে টানা ৭৮ দিন লকডাউনের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি গোটা চিনকেই করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে থেকে রাজধানী শহর বেজিংয়ে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। শহরের জিনফাদি বাজার থেকে এই নতুন সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করছে বেজিং প্রশাসন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে সতর্ক করা হয়েছে। বেজিং শহর প্রশাসনের এক মুখপাত্র জু হেজিয়ান বলেছেন, ‘‘রাজধানী শহরের অতিমারি পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।’’

নতুন সংক্রমণের খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই ওই বাজারে যাওয়া প্রতিটি লোককে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেজিং। গোটা এলাকা লকডাউন করে চলছে পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি। ওই বাজারের পাশাপাশি আরও একটি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারের সব দোকানই জীবাণুমুক্ত করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত কয়েক দিনে ওই বাজারে কারা গিয়েছিলেন, তার তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। বেজিং পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ মে পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ওই বাজারে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৮০০০ জনকে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: লাদাখে ফের ভারত-চিন সংঘর্ষ, কর্নেল এবং ২ জওয়ান হত

আরও পড়ুন: ‘স্বজনপোষণ, গুন্ডাগিরি বলিউডে জলভাত, ক’জন সুশান্তকে বাঁচাবেন’: কোয়েনা

আগেই বেজিংয়ে সমস্ত ইন্ডোর গেমস, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল। তার সঙ্গে শহর থেকে বাইরে যাওয়া এবং শহরে ঢোকার উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া অন্য শহরের প্রশাসনের তরফেও সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেউ বেজিং থেকে ফিরলে তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখা হবে। বেজিংয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেজিং শহরের বাইরে কেউ যেতে চাইলে, অবশ্যই প্রশাসনকে জানাতে হবে।

Coronavirus COVID-19 China Beijing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy