ছবি: সংগৃহীত।
কুলভূষণ যাদবের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে ভারতকে ফের সুযোগ করে দিতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত কুলভূষণের আইনজীবী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। আগামী এক মাসের জন্য তা মুলতুবি হওয়ার আগে পাক সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৩ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
এ দিন কুলভূষণ মামলার শুনানিতে পাক সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ খান আদালতকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের নির্দেশ মতো ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়েছিল। তবে কুলভূষণের জন্য আইনজীবী নিয়োগে পাক সরকারের প্রস্তাবে ভারত সাড়া দেয়নি। পাক সরকারের মন্তব্য শোনার পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ, ভারতকে ফের কুলভূষণের আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এই নির্দেশ ভারত সরকারের কাছেও পাঠানোর কথা পাক সরকারকে বলেছে আদালত। এর পর আদালত মুলতুবি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জনস্বার্থে মোদীর দান ১০৩ কোটি টাকা, পিএম কেয়ার্স নিয়ে বিতর্ক সামলাতে পরিসংখ্যান!
আরও পড়ুন: লাদাখ-কাণ্ডের জন্য দায়ী চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক
ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবকে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও ভারতের দাবি ছিল, ব্যবসার খাতিরে ইরানে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। এর পর ২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। যার বিরুদ্ধে ওই বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। তাতে ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। গত বছর জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানায়, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে তা পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের। কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও পর্যবেক্ষণ আন্তর্জাতিক আদালতের। তবে সেই রায়ের বিপরীতে গিয়ে পাকিস্তানের দাবি ছিল, কুলভূষণ নাকি নিজেই মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চান না। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশও দেশের সংবিধান মেনে বলবৎ করা হবে বলে জানায় পাক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy