যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজ়ায় ধ্বংসস্তূপের সামনে বসে এক প্যালেস্তিনীয়। ছবি- রয়টার্স।
এ বার গাজ়া শহরকে সম্পূর্ণ ভাবে কব্জা করার কথা জানাল ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তারা রণকৌশলের খাতিরে উত্তর এবং দক্ষিণ— এই দু’ভাগে ভাগ করেছে। অন্য দিকে, আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই আবহে গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পাঠাতে তুলনায় ‘নরমপন্থী’ আরব দেশগুলিতে সফর করছেন ব্লিঙ্কেন।
এর আগে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে গিয়ে প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। তার পর হঠাৎই ইরাক এবং সাইপ্রাস সফরে যান তিনি। যদিও প্যালেস্তিনীয় প্রশাসনের তরফে ব্লিঙ্কেনকে বেশ কড়া ভাষাতেই জানানো হয় যে, গাজ়ায় ইজ়রায়েল যে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, তা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইজ়রায়েলকে রাজি করানোর জন্যও ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ করেছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক।
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, গোটা গাজ়া শহরকে ঘিরে নিয়েছেন তাঁরা। উত্তর এবং দক্ষিণ হিসাবে গাজ়াকে বিভক্ত করা হয়েছে। গাজ়ায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং মানবিক সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে ইজ়রায়েল এবং আমেরিকার উপর। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, জয় না-পাওয়া অবধি তাঁরা লড়াই থামাবেন না। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার শর্ত হিসাবে হামাসের দ্বারা অপহৃত ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তির দাবি তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক দিনে গাজ়ার পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy