পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, কয়েক দিন আগেই এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এই খবরকে মিথ্যা বলে উ়ড়িয়ে দিল হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই এই খবর জানিয়েছে। ওই আধিকারিক মুনিরকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ সংক্রান্ত খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “এটা মিথ্যা। কোনও বিদেশি নেতাকেই আমন্ত্রণ করা হয়নি।
শনিবার ছিল আমেরিকার সেনা দিবস বা ‘আর্মি ডে’। ১৭৭৫ সালের ১৪ জুন আমেরিকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনী তৈরি করা হয়। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনটি সেনা দিবস হিসাবে পালিত হয় ওই দেশে। ঘটনাচক্রে, ১৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিনও। ওই বিশেষ দিনে পাক সেনাপ্রধান আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
এই খবর ছড়ানোর পর ভারতেও রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তোপ দেগে বিরোধী কংগ্রেস বিষয়টিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসাবে দাবি করে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সমাজমাধ্যমে লেখেন, “এই মানুষটিই (পাক সেনাপ্রধান) পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার আগে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হল, আমেরিকার মনোভাবটা ঠিক কী?” যদিও কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে যে, ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে জয়রাম রমেশ মিথ্যা দাবি করছেন।”
মুনিরকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এই খবর ছড়়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের অন্দর থেকেও ক্ষোভের সুর শোনা যায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জানায়, মুনির আমেরিকায় গেলে ওয়াশিংটনের পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে তারা। তবে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমেরিকাই জানিয়ে দিল, মুনিরকে সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।