সাবধানতা: এমনই অবস্থা চিনে। ফাইল ছবি
দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই ভাইরাসটি চিনে ৮০০ জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। চিন থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে আরও অন্তত ২৪টি দেশে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে অন্তত ৩৭ হাজার জনের। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে প্রতিষেধক আবিষ্কারে জোর দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতিষেধক ব্যবহার যোগ্য করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এবং অবশ্যই সময়সাপেক্ষ। কয়েক বছর লেগে যায়। প্রতিষেধক আবিষ্কারে সময় বাঁচাতে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। এর ফলে নতুন ভাইরাস ঠেকাতে প্রতিষেধক কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল বিজ্ঞানী কাজ করে চলেছেন। সেই দলের অন্যতম সদস্য কিথ চ্যাপেল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি প্রবল চাপের। বিজ্ঞানীদের উপরেও যথেষ্ট চাপ রয়েছে। কিন্তু তাঁরা আশার আলো দেখছেন, একটি বিষয়েই। প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখা এই ভাইরাস ঠেকাতে বিশ্ব জুড়ে কাজ চলছে। তাই বিজ্ঞানীরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এর ফলে সময় বাঁচবে। প্রতিষেধক মাস ছয়েকের মধ্যে আবিষ্কার হয়ে যেতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু পরিস্থিতির বিচারে এই ছ’মাস সময়ও অনেকটাই বেশি বলে মত তাঁদের।
গবেষণার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’। এই সংস্থা ২০১৭ সালে তৈরি। পূর্ব আফ্রিকায় ইবোলা ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রতিষেধক গবেষণায় সংস্থাটি আর্থিক সাহায্য করেছিল। করোনা-প্রতিষেধক তৈরিতেও সংস্থাটি কয়েক লক্ষ ডলার খরচ করছে। মোট চারটি প্রকল্পে কাজ চলছে।
এদিকে করোনাভাইরাস চিনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে নতুন একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের উহান প্রদেশে এক আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। ওই রোগী অন্তত ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে সংক্রমিত করেছেন। আরও চারজন রোগীর মধ্যেই তাঁর থেকেই ভাইরাস ছড়ায়।
যে রোগী বহুজনের মধ্যে রোগ ছড়িয়েছে তাঁকে প্রথমে সার্জিকাল ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। কারণ তিনি তলপেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাই প্রথমে করোনাভাইরাস বলে সন্দেহ করেননি চিকিৎসকেরা। ওই সময়ে আরও চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন ওই ওয়ার্ডে। তাঁরা আক্রান্ত হন। মনে করা হচ্ছে প্রথম রোগীর থেকেই তাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সার্স এবং মার্স ভাইরাসের সময়েও এরকম ভাবেই ভাইরাস ছড়িয়েছিল। একজনের থেকে বহুজন আক্রান্ত হন। রিপোর্ট অনুযায়ী, রোগী যে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তাতেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। রোগীকে ভর্তি করা হয় সার্জিকাল ওয়ার্ডে।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ বারবারই চিকিৎসকদের ভুল পথে চালিত করেছে। এই ধরনের ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ সর্দি, জ্বর সেসব কিছুই দেখা যায়নি। বরং রোগীকে ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মাথার যন্ত্রণা, ঝিমুনি এবং তলপেটে ব্যথা নিয়েও বেশ কিছু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এমনও দেখা গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ে রোগীর তেমন কোনও সমস্যা নেই। হালকা শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তার পর হঠাৎই রোগ কঠিন হয়ে পড়ছে। অভিজ্ঞরা বলছেন, কেউ ভাল হওয়ার লক্ষণ দেখাচ্ছেন মানেই যে তিনি বিপদ মুক্ত তা কিন্তু নয়।
করোনাভাইরাসের আরেকটি সমস্যার দিকে চিকিৎসকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সেটি হল, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের নিউমোনিয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গে এর প্রভাব পড়ছে। ভাইরাসের প্রভাবে ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, যকৃৎ, কিডনিতে প্রদাহ হয়। তাতে স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না এই অঙ্গগুলো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy