Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের ‘দারুণ একটা গল্প’

ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অ্যাড্রেস’ হওয়ার কথা ছিল চলতি জানুয়ারি মাসেই।

সংবাদ সংস্থা      

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫২
ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অ্যাড্রেস’ হওয়ার কথা ছিল চলতি জানুয়ারি মাসেই। সরকারের ‘শাটডাউন’ শেষ হওয়ার পর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কাল তাঁকে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণের জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। জবাবে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমি সম্মানিত। দারুণ একটা গল্প বলার আছে আমাদের। পূরণ করার জন্য রয়েছে মহান কিছু লক্ষ্য!’

মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার জেদেই কার্যত আটকে গিয়েছিল প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বক্তৃতা। ওই দেওয়াল তোলার জন্য ট্রাম্প চান ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা সীমান্ত সুরক্ষার খাতে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি খরচের বিরোধী। এই টানাপড়েনের মধ্যে সরকার ‘শাটডাউন’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। দেওয়ালের জন্য চাহিদামতো বরাদ্দ মঞ্জুরির রাস্তা না খোলায় এক সময় জরুরি অবস্থা জারি করেই নিজের লক্ষ্য পূরণের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাতেও দেওয়ালের জন্য বরাদ্দের বিল পাশ হয়নি কংগ্রেসে। ঘোচেনি সরকারের তালাবন্দি দশাও। ট্রাম্প চেয়েছিলেন, এর মধ্যেই জাতির উদ্দেশের বক্তৃতা দিতে। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার ন্যান্সি।

মার্কিন কংগ্রেসে যদি সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও জায়গা থেকে বক্তৃতা দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন ট্রাম্প। সেটা হলে, নতুন এক দৃষ্টান্ত তৈরি হত। শেষ পর্যন্ত সে পথে আর হাঁটতে হল না তাঁকে। টানা ৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর, শুক্রবার চালু হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন ইতিহাসে এটা সরকারের ‘শাটডাউন’ থাকার রেকর্ড। যাঁর পুরো কৃতিত্ব ট্রাম্পেরই। স্পিকার ন্যান্সি কাল প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে ওই পিছিয়ে যাওয়া বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প দ্রুত তা গ্রহণ করে জবাব দেন, ‘‘আমি সম্মানিত।... ’’

প্রেসিডেন্টরা সাধারণত এই বক্তৃতায় তাঁদের আগামী এক বছরের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথাই তুলে ধরেন। আমেরিকাবাসীর মনে এখন প্রশ্ন, এক সপ্তাহ পর, কী বলতে চলেছেন ট্রাম্প? বিশেষ করে যখন, দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দীর্ঘতম ‘শাটডাউন’-এর ধাক্কা নিশ্চিত ভাবে পড়তে চলেছে মার্কিন অর্থনীতিতে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল।

ট্রাম্প অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ সবে ঘাবড়ানোর পাত্র নন তিনি। তাই কেমন ‘ভাল গল্প’ তিনি শোনাবেন এ বার, আমেরিকা এখন সেই অপেক্ষায়।

Donald Trump Nancy Pelosi State of the union
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy