৫০ বছর আগে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। আর সেই যুদ্ধই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থামিয়ে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্যানসার সংক্রান্ত গবেষণায় বরাদ্দ কমাচ্ছেন ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকায় তো বটেই, গোটা বিশ্বে এই মারণরোগের বিরুদ্ধে লড়াই বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাগারে বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছেন চান শিরিয়ান্নি। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণার জন্য কোনও টাকা পাচ্ছেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে গবেষণার কাজ থামাতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু শিরিয়ান্নিই নন, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন সরকারি অনুদানের উপর নির্ভর করে গবেষণার কাজ চালানো বহু গবেষক। ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট (এনসিআই)-এর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশেরও কম করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, রাজনৈতিক লক্ষ্যে এই সমস্ত গবেষণার কাজ চালানো হচ্ছে। তাই এই ধরনের গবেষণার জন্য সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় করবে না তারা।
বিশ্বে ক্যানসারের মতো মারণরোগের গবেষণায় আমেরিকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। এর ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মানুষরাই নন, উপকৃত হয়ে থাকেন গোটা বিশ্বের মানুষ। তা ছাড়া গত পাঁচ দশক ধরে ক্যানসারের গবেষণায় বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থসাহায্যের জন্য আমেরিকায় কর্কট রোগে আক্রান্ত মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তা সত্ত্বেও সামগ্রিক প্রশাসনিক খরচ কমানোর অঙ্গ হিসাবে ক্যানসারের গবেষণাতেও বরাদ্দের পরিমাণ কাটছাঁট করতে চলেছে হোয়াইট হাউস।