অবৈধ অভিবাসীদের ধরে ধরে নিজের নিজের দেশে পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আমেরিকায় কোনও অবৈধ অভিবাসীর জায়গা হবে না! শুধু তা-ই নয়, তাঁর প্রশাসনের নজরে রয়েছেন বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যাওয়া ব্যক্তিরাও। এ বার মার্কিন প্রশাসন জানাল, সাড়ে পাঁচ কোটি ভিসা যাচাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়ার সময় ভিসা বাতিল হতে পারে আমেরিকার অনেক অভিবাসীরই।
মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ভিসা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। ওই দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আমেরিকায় থাকার জন্য ভিসা দেওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু তা বলে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা আমেরিকায় থেকে যান, তাঁদের শনাক্ত করার জন্য এই যাচাইকরণের কাজ খুবই জরুরি।’’ শুধু তা-ই নয়, ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে কেউ যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তাঁদের চিহ্নিত করবে মার্কিন প্রশাসন। যে কোনও সময় সেই সব ভিসা বাতিল করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসে প্রথম দিনেই এক নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘যে সব বিদেশি আমেরিকায় আসবেন, তাঁরা যে আমেরিকার নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা আদর্শের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন না, তা নিশ্চিত করা হবে।’’ এর পরেই ভিসার আবেদনে কড়াকড়ি শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। অভিবাসন আইনও কঠোর করা হয়। কড়াকড়ি শুরু হয় আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির বিষয়েও।
আরও পড়ুন:
গত জুন মাসে মার্কিন বিদেশ দফতর জানায়, মার্কিন দেশে যাওয়া সকলের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল আতশকাচের নীচে রেখে যাচাই করে দেখা হবে। পড়ুয়া হোক, কিংবা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারী— সকলের সমাজমাধ্যমের পোস্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখবেন মার্কিন কনস্যুলার অফিসারেরা। সেই আবহে এ বার সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি ভিসা পর্যালোচনার পথে হাঁটতে চলেছে আমেরিকা।