Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
দোষারোপ বিচার বিভাগকেও

ট্রাম্পের নথিতে বিদ্ধ এফবিআই

মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত সংক্রান্ত একগুচ্ছ গোপন নথি ফাঁস করে গোয়েন্দা সংস্থাটির বিরুদ্ধে এ বার ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগ আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১০
Share: Save:

চার পাতার একটা মেমো। আদতে বোমাই!

ঘুরেফিরে নিশানা ফের এফবিআই। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিলই। মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত সংক্রান্ত একগুচ্ছ গোপন নথি ফাঁস করে গোয়েন্দা সংস্থাটির বিরুদ্ধে এ বার ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগ আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের সেই মেমো গত কালই পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে। যার ভিত্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দল বলছেন, ‘‘এফবিআই যে তদন্তের নামে সরকারকে ক্রমাগত বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে, এ বার তা প্রমাণ হবে।’’ ডেমোক্র্যাটদের যদিও দাবি, এ সবই তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চক্রান্ত।

নথি প্রকাশ করতে গিয়ে দেশের বিচার বিভাগকেও ‘ডেমোক্র্যাট-পন্থী’ বলে দুষেছেন প্রেসিডেন্ট। রুশ তদন্তের সামগ্রিক দায়িত্বে এখন বিচার বিভাগেরই বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। নাম না-করে তাঁকেও বিঁধে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর লজ্জাজনক পরিস্থিতি। চারদিকে রাজনীতির খেলা।’’ এমন কী আছে নথিতে? রিপাবলিকানদের দাবি, যা আছে, তার ধাক্কায় ভিত নড়ে যাবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার। একমত দেশের কূটনীতিকেরাও। গত বছর মে মাসে ‘অযোগ্য’ তকমা দিয়ে এফবিআই প্রধান জোমস কোমিকে ছেঁটে ফেলেছিলেন ট্রাম্প। সেপ্টেম্বরে সেই জায়গায় এনেছিলেন ক্রিস্টোফার রে-কে। মাঝের সময়টায় রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত করছিলেন সহ-প্রধান অ্যান্ড্রু ম্যাকাবে। সম্প্রতি চাপ সৃষ্টি করে তাঁকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন প্রেসিডেন্ট। আর এ বার তো গোটা সংস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলে দিলেন! প্রকাশিত নথিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে— ২০১৬-র ভোটে ডেমোক্র্যাটদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের তৎকালীন উপদেষ্টা কার্টার পেজের উপরে ‘অনৈতিক’ নজরজারি পরোয়ানা জারি করেছিল এফবিআই। ছাড় পাননি ট্রাম্প নিজেও।

মেমোটি কাল কংগ্রেসে পেশ করেছেন রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেজ। শোনা যাচ্ছে, নথিটি তৈরি করেন এই কমিটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য কাশ পটেল। যিনি এর আগে বিচার বিভাগে চাকরি করতেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ একে ‘কাশ-মেমো’ বা ‘নুনেজ মেমো’ও বলছেন।

নথি ফাঁস আটকাতে সপ্তাহ জুড়েই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দা প্রধান ক্রিস্টোফার রে ও এফবিআই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রসেনস্টাইন। নথিটি অসম্পূর্ণ বলে দাবি তাঁদের। নথি প্রকাশ হোক, চায়নি বিচার বিভাগও। ডেমোক্র্যাটরা আগে বলেছিলেন, এফবিআই সম্পর্কে এমন মেমো প্রকাশ হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবু রোখা গেল না ট্রাম্পকে। ডেমোক্র্যাটরা এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে বলেছেন, এ বার হয়তো একযোগে মুলার আর রসেনস্টাইনকে ছেঁটে ফেলতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE