Advertisement
E-Paper

হঠাৎ বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী দক্ষিণ আমেরিকায় পাঠানোর নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প! নিশানায় কোন দেশ? যুদ্ধের তোড়জোড়?

জেনারেল ফোর্ড বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী। অন্তত ৯০টি যুদ্ধবিমান এই জাহাজ একাই বইতে পারে। পেন্টাগনের দাবি, মাদক পাচারচক্র ভেস্তে দিতে আমেরিকার সাউদার্ন কমান্ড এলাকায় ফোর্ড মোতায়েন করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১২
বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী জেনারেল আর ফোর্ড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে মোতায়েন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী জেনারেল আর ফোর্ড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে মোতায়েন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী জেনারেল ফোর্ডকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ লাগোয়া সমুদ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের তরফে শুক্রবার (স্থানীয় সময়) এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভেনেজ়ুয়েলার উপকূলে মার্কিন রণতরীটি থাকবে। যদিও পেন্টাগন কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেনি। তাদের মুখপাত্রের দাবি, মাদক পাচারচক্র ভেস্তে দিতে এবং মাদক সন্ত্রাসের মোকাবিলার জন্য আমেরিকার সাউদার্ন কমান্ড এলাকায় রণতরী মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তাঁর দাবি, আমেরিকা যুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র সিয়েন পারনেল সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘মাদক সন্ত্রাসের মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের নির্দেশে জেনারেল আর ফোর্ডকে দক্ষিণ কমান্ড এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।’’ মার্কিন এই রণতরীটি এত দিন ভূমধ্যসাগরে ছিল। পেন্টাগনের নির্দেশের পর তা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ লাগোয়া সমুদ্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে বলে খবর। এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ওরা একটা নতুন এবং অন্তহীন যুদ্ধ শুরু করতে চাইছে। ওরা কথা দিয়েছিল, ভবিষ্যতে কখনও কোনও যুদ্ধে যোগ দেবে না। কিন্তু ওরা যুদ্ধই চাইছে।’’

অতলান্তিক মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে ক্যারিবিয়ান এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল সংলগ্ন সমুদ্রে একটি বড়সড় মাদক পাচারচক্র দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে নিষিদ্ধ মাদক সেখান থেকেই আমেরিকায় ঢোকানো হয়। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সংলগ্ন অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে আমেরিকা। যেখানে জেনারেল ফোর্ডকে পাঠানো হচ্ছে, ভেনেজ়ুয়েলার উপকণ্ঠে সেই এলাকায় ইতিমধ্যে আটটি যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক ডুবোজাহাজ এবং একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। মাদক পাচারকারীদের ঠেকাতে এই সামরিক উপস্থিতি প্রয়োজনীয় বলে দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ভেনেজ়ুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে মাদক পাচারকারীদের আশ্রয় দেওয়া এবং মাদক সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে আমেরিকা। জেনারেল ফোর্ড মোতায়েনের পর পেন্টাগনের বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণ কমান্ড এলাকায় এই বর্ধিত সামরিক উপস্থিতি আমেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই অঞ্চলের অবৈধ কার্যকলাপকে শনাক্ত করা আরও সহজ হবে। মাদক পাচারকারীদের চক্রান্ত ভেস্তে যাবে।’’ ভূমধ্যসাগর থেকে রওনা দিলেও ঠিক কবে জেনারেল ফোর্ড ভেনেজ়ুয়েলার উপকূলে পৌঁছোবে, এখনও স্পষ্ট নয়।

ফোর্ড বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী। এতে পাঁচ হাজারের বেশি নাবিক রয়েছেন। অন্তত ৯০টি যুদ্ধবিমান এই জাহাজ একাই বইতে পারে। শুধু মাদক পাচার ঠেকানো নয়, ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে এমন রণতরী মোতায়েনের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। অনেকেই মনে করছেন, ভেনেজ়ুয়েলাকে পরোক্ষে কঠোর বার্তা দিতে চায় ওয়াশিংটন। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।

venezuela US Warships South America Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy