Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
USA Presidential Election

বাইডেনকে বিঁধতেই আক্রমণের মুখে ট্রাম্প

লিবার্টারিয়ানরা সাধারণত ছোট আকারের সরকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট, দুই দলেই তাঁরা আছেন। আবার তাঁদের স্বাধীন সত্তাও আছে।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৮:২৯
Share: Save:

সমর্থকদের সহর্ষ সমর্থন পেতেই অভ্যস্ত তিনি। কিন্তু লিবার্টারিয়ান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে বক্তৃতা করতে গিয়ে বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনে শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্য থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে বারবার উড়ে এল কটাক্ষ, আক্রমণ। এমনকি, তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘আমেরিকার সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ বলে বর্ণনা করতেই জনতার একাংশ পাল্টা বলে উঠল, ‘‘সেটা আপনি! আপনি!’’

লিবার্টারিয়ানরা সাধারণত ছোট আকারের সরকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট, দুই দলেই তাঁরা আছেন। আবার তাঁদের স্বাধীন সত্তাও আছে। এই মঞ্চে ট্রাম্পকে আদৌ বক্তৃতা করতে আমন্ত্রণ জানানো হল কেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ ছিল একাংশের। ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার উপক্রম করতেই অনেকে নানা রকম টিপ্পনী কাটতে থাকেন। ট্রাম্পের কোভিড-নীতি, তাঁর আমলের আর্থিক ঘাটতি, তাঁর ‘মিথ্যাচার’— বিবিধ বিষয় উঠে আসে সমালোচকদের কণ্ঠে। আবার, ট্রাম্পের কিছু সমর্থকও হাজির ছিলেন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট’ লেখা টুপি পরে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা কম।

ট্রাম্প হাওয়ার গতি বুঝে প্রথমেই পরিবেশটা হালকা করার উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন, ‘‘আমি যদি আগে লিবার্টারিয়ান নাও থেকে থাকি, এখন আমি অবশ্যই লিবার্টারিয়ান।’’ তার পর ‘‘এই ঘরে উপস্থিত স্বাধীনতার রক্ষকদের’’ প্রশংসা করেন। গন্ডগোলটা বাধে তার পরেই। কারণ স্বাধীনতাপ্রিয় লিবার্টারিয়ানদের কাছে বাইডেনকে ‘স্বৈরতন্ত্রী’ বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। আমেরিকার ‘সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ বলেও আখ্যা দেন তাঁকে। তারই জবাবে ‘সেটা তো আপনিই’ বলে পাল্টা আক্রমণ উঠে আসে জনতার মধ্য থেকে।

ট্রাম্প অবশ্য এর পরেও হাল ছাড়েননি। বাইডেনের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য নির্মাণের জন্য তিনি ‘বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে’ এসেছেন বলে দাবি করেন। তাঁর সমর্থকেরা তখন ‘উই ওয়ান্ট ট্রাম্প’ বলে সরব হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ট্রাম্প-বিরোধীদের গলার জোরের কাছে তেমন টিকতে পারেননি। একজন তো ‘কোনও সম্ভাব্য একনায়ক নয়’ বলে লেখা একটা পোস্টারও তুলে ধরেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। অনেকে আবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গলা তুলে ‘এন্ড দ্য ফেড (ফেডেরাল রিজ়ার্ভ)’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একটা সময় ট্রাম্প খানিকটা মেজাজও হারান। তিনি বলে বসেন, ‘‘আপনারা বোধহয় জিততে চান না। চার বছর অন্তর তিন শতাংশ ভোট পেয়েই খুশি!’’

প্রসঙ্গত লিবার্টারিয়ানদের নিজস্ব প্রার্থী তিন শতাংশের বেশি ভোট খুব একটা পান না। এ বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী কে হবেন, সেটা রবিবার এই সম্মেলনের শেষ দিনেই ঠিক হওয়ার কথা। দৌড়ে এগিয়ে আছেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

USA Presidential Election Joe Biden Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE