প্রাক্তন এফবিআই কর্তা জেমস কোমির বিস্ফোরক মন্তব্য শুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন, ‘‘সব দিক থেকে আমাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরাও জানি, কী করে লড়াই করতে হয়। চুপ করে বসে থাকব না।’’
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ‘ফেথ ও ফ্রিডম র্যালি’তে যখন ট্রাম্প এই কথা বলছেন, ঠিক সেই সময়েই ক্যাপিটলে সেনেট তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রাক্তন এফবিআই কর্তা জেমস কোমি। ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সেনেটের এই কমিটি। সেই তদন্তেই আজ মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য নেওয়া হয় কোমির। ৯ মে যাঁকে এফবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত এ বার নিরপেক্ষ ভাবে করা যাবে।’’
আজ সেনেট কমিটির সামনে কী বললেন কোমি? কোনও রকম রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, ‘‘একের পর এক মিথ্যে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উনি যে ভাবে ঘটনাগুলো সাজিয়েছেন, আদপেই তা ঘটেনি।’’ মার্কিন নির্বাচনে রুশ মদতে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের কী ভূমিকা ছিল, সে বিষয় তদন্তে করছিলেন কোমি। তাঁর দাবি, তদন্ত চলাকালীন ৩০ মার্চ ফোন করে ট্রাম্প তাঁকে বলেন, ‘‘আশা করি আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন যে, এ বিষয়ে আর জলঘোলা করার দরকার নেই। এ সব ছেড়ে দিন। ফ্লিনকেও ছেড়ে দিন। লোকটা ভাল।’’ তদন্ত কমিটিকে জমা দেওয়া তাঁর সাত পাতার লিখিত বিবৃতিতেও কোমি বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট কেন এই কথা বলেছিলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন কি না, তা আমি জানি না। তবে তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।’’
কোমির মন্তব্যে ট্রাম্প নিজে ফোঁস করে উঠলেও মেপে পা ফেলেছেন ট্রাম্পের আইনজীবী মার্ক কসোউইৎজ। মার্কের কথায়, ‘‘কোমির কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল, রুশ মদতের যে অভিযোগ উঠেছে, তার সঙ্গে কোনও ভাবেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জড়িত ছিলেন না।’’