Advertisement
E-Paper

অবৈধ অভিবাসীর খোঁজে আরও কঠোর তল্লাশির ভাবনা ট্রাম্পের, হুন্ডাইয়ের পর নিশানায় কারা

জর্জিয়ায় হুন্ডাইয়ের কারখানায় হানা দিয়ে ৪৭৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী দিনে আরও কঠোর অভিযান হবে। বাড়বে ধরপাকড়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৮
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি জর্জিয়ায় হুন্ডাইয়ের কারখানায় হানা দিয়ে তাঁর প্রশাসন ৪৭৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের অধিকাংশই দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দা। অভিযোগ, অবৈধ ভাবে আমেরিকায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হুন্ডাই দিয়ে শুরু। শীঘ্রই আমেরিকার আরও কারখানায় তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। বেছে বেছে খুঁজে বার করা হবে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের। ট্রাম্প নিজেও এ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছেন।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর একটি অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউস কর্তা টম হোম্যানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, কারখানাগুলিতে এ বার নজরদারি আরও বাড়বে। হোম্যানের কথায়, ‘‘কারখানায় আরও তল্লাশি অভিযানের বন্দোবস্ত করব আমরা। কেউ দয়াপরবশ হয়ে বা মানবিক কারণে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করেন না। আসলে ওঁদের নিয়োগ করা হয় কম বেতনে বেশি করে খাটিয়ে নেওয়ার জন্য। এ ভাবে চাকরির প্রতিযোগিতায় আমেরিকার নাগরিকেরা হেরে যাচ্ছেন।’’

হুন্ডাইয়ের পর কারা ট্রাম্পের কোপে পড়তে পারেন? মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি-সহ আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিবাসী নাগরিকদের উপর নির্ভরশীল, যাঁদের আমেরিকায় বসবাসের জন্য বৈধ নথি নেই। সুলভ শ্রমের বিনিময়ে অধিক মুনাফা আদায়ের জন্য প্রায় সব সংস্থা সেই পথে হেঁটেছে। কিন্তু আমেরিকানদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ট্রাম্প এ বার সচেষ্ট হচ্ছেন। তাই এত ধরপাকড়। ফলে কৃষি, হসপিটালিটি, মাংস প্যাকিংয়ের মতো বড় শিল্পের অনেক কারখানা ট্রাম্পের পরবর্তী নিশানা হতে পারে। ট্রাম্প-বিরোধীরা কেউ কেউ আবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, আমেরিকা থেকে অভিবাসীদের একেবারে সরিয়ে দিলে ভেঙে পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতি।

জর্জিয়ায় হুন্ডাইয়ের ব্যাটারি কারখানায় হানাকে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় তল্লাশি অভিযান বলা হচ্ছে। ধৃত ৪৭৫ জনের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। তাঁদের গ্রেফতার করে অভিবাসী আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে এ বিষয়ে। উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে ধৃতদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে কোনও আঁচ পড়বে না বলে দাবি করা হয়েছে।

US IMMIGRATION LAW Donald Trump Georgia Hyundai Illegal Immigration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy