Advertisement
E-Paper

মোদীর দরাজ প্রশংসায় ট্রাম্প

আজ বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই নয়, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বিশদে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
ম্যানিলায় মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।

ম্যানিলায় মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।

ঠিক এক সপ্তাহ আগেই পূর্ব চিন সাগরে একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে জ্বালানি ভরেছে মার্কিন রণতরী। গতকাল ম্যানিলায় আসিয়ান-ভারত সম্মেলনের পার্শ্বমঞ্চে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বেজিংয়ের প্রভাবের মোকাবিলা করতে চারটি দেশের বৈঠক হয়েছে। ভারত এবং আমেরিকা ছাড়া এই অক্ষের অন্য দুই বিন্দুতে রয়েছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।

আজ বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই নয়, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বিশদে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

বৈঠকের পরে মোদী বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন। নানা মঞ্চে তিনি সে কথা বলেছেন। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ভারতের স্বার্থকে ছাপিয়ে সামগ্রিক ভাবে এশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং বিশ্ব মানবতার স্বার্থে এই জোট সক্রিয় থাকবে।’’ মোদীকে দরাজভাবে শংসাপত্র দিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার হোয়াইট হাউসেও বৈঠক হয়েছে। উনি আমাদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। মোদী দারুণ কাজ করছেন। আমরা ভবিষ্যতেও এক সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’’ পরে অনাবাসী ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘ভারত নেওয়ার চেয়ে বেশি দিতে চায়। ভারতীয়েরা কখনওই ছিনিয়ে নেওয়ায় বিশ্বাস করেননি।’’ নাম না করে তিনি চিনকেই বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্পের মোদী সম্পর্কে উচ্ছ্বাসের পিছনে রয়েছে বেজিংকে চাপে রাখার কৌশল। চিনের যোগাযোগ প্রকল্প ‘ওবর’-এর পাল্টা কৌশল তৈরি করতে আমেরিকা ভারত এবং জাপানকে নিয়ে গোষ্ঠী তৈরি করেছিল দু’বছর আগেই। তাতে অস্ট্রেলিয়া যোগ দেওয়ায় ভবিষ্যতে সাগর-বাণিজ্যের লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগোনো গেল বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। গোটা বিষয়টি নিয়ে গত কাল চর্তুদেশীয় বৈঠকের পরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সিলমোহরও পেয়ে গিয়েছে।

আজ আলোচনা হয়েছে সেই সূত্রে ধরেই। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বারাক ওবামার জমানা থেকেই কড়া মনোভাব নিয়ে চলছিল আমেরিকা। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে চিনের বিরুদ্ধে অবস্থান আরও কড়া করেছে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে ট্রাম্প সে দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সমান্তরাল ভাবে চিনকে চাপে রাখাটাও আমেরিকার অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সদর্থক বার্তা দিতে চেয়েছে বেজিং। এখন ভিয়েতনামে রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। আজ চিন ও ভিয়েতনাম এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় সংঘাত এড়িয়ে চলতে চায়।

Donald Trump Narendra Modi APEC Summit Defence Security ডোনাল্ড ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy