সদ্য প্রয়াত বিচারপতি রুথ বেডার গ্রিন্সবার্গ স্মরণে ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। রয়টার্স
ভোটে তিনি পরাজিত হলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিপক্ষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না বলে জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাফ বক্তব্য, মার্কিন নাগরিকেরা তাঁকে সমর্থন করবেন না, বা কম ভোট দেবেন, এমনটা হতে পারে না। তিনি পরাজিত হলে তার একমাত্র কারণ হবে, ডাকযোগে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে ভোটে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ফলে হারলেও ট্রাম্প যে সহজে গদি ছাড়বেন না, তা বলাই যায়।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর দেড় মাসও বাকি নেই। এই অবস্থায় বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ট্রাম্প জানান, এই সম্ভাবনার কথা আসতই না যদি ডাকযোগে ভোটের বদলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভোট হত। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাঁর পরাজিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকত না। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি পরাজিত হলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কি না, তা বলতে পারছেন না এখনই। তাঁর কথায়, ‘‘দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়। আপনারা জানেন, আমি বহু দিন ধরেই খুব জোরালো ভাবে ডাকযোগে ব্যালটের বিরোধিতা করে আসছি। সত্যি কথা বলতে এই প্রক্রিয়ায় ভোট না-হলে অশান্তির কোনও প্রশ্নই ছিল না। কারণ সে ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তর হতই না। এই সরকারই ক্ষমতায় থাকত।’’
করোনা-আক্রান্তের নিরিখে এখনও বিশ্বে প্রথম আমেরিকা। ফলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পরিবর্তে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়াকেই অনেক নিরাপদ মনে করছেন মার্কিন ভোটদাতারা। আর এখানেই আপত্তি ট্রাম্পের। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তিনি বলে চলেছেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য চিন্তা নয়, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করার জন্য ডেমোক্র্যাটরা পোস্টাল ব্যালটের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন।
২০১৬ সালেও ট্রাম্প বলেন, হিলারি ক্লিন্টনের কাছে ভোটে হারলে সেই ফল মানবেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy