ইরান প্রসঙ্গে আবার উল্টো সুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়। ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির পরে উন্নয়নমূলক এবং অসামরিক পরমাণু কর্মসূচিতে ইরানকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের সুর বদল। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে ইরানের পরমাণুঘাঁটিগুলিতে ফের বোমা ফেলতে পারে আমেরিকা। ইরানের উপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তোলার যে চিন্তাভাবনা তিনি শুরু করেছিলেন, তা-ও আর করা হবে না। বিষয়টা হল, গত বৃহস্পতিবার খামেনেই বিজয় ভাষণে ‘আমেরিকার গালে সপাটে চড় কষানো’ নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা কানে যাওয়ার পর থেকেই উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছেন ট্রাম্প।
তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান-ও। ইরানি বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি আজ সকালেই এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগে কথা বলার ধরন ঠিক করতে হবে। তার পরেই পরমাণু প্রকল্প সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা সম্ভব। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই কোনও চুক্তি চান, ওঁকে আগে ইরানের নেতা খামেনেইয়ের প্রতি কথা বলার অসম্মানজনক ভঙ্গি পাল্টাতে হবে।’। ইজ়রায়েলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি আরাগচি। সম্প্রতি দ্য হেগ-এর সম্মেলনে নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটা ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ সম্বোধন করেছিলেন। ইরানের বিদেশমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইজ়রায়েলের সামনে ‘ড্যাডির’ কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।’
ইরান-আমেরিকা মৌখিক দ্বন্দ্বের মধ্যেই আজ ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিহত ইরানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েক জন কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের শেষকৃত্য হয়েছে। রাজধানী তেহরানে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। সকলেরই পরনে কালো পোশাক, মুখে ‘ডেথ টু আমেরিকা’ এবং ‘ডেথ টু ইজ়রায়েল’ স্লোগান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)