শনিবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দিষ্ট একটি দেশের আকাশসীমা নিয়ে বিমানগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কেউ যাতে ভুলেও ওই আকাশসীমায় না ঢুকে পড়ে। এমনকি, ওই দেশের আকাশসীমাকে বন্ধ বলে ধরে নিতে বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তবে কি দেশটিতে সামরিক কোনও হামলা চালাতে চলেছে আমেরিকা? এক দিন পরে এ বার সেই ‘শত্রু’ দেশ ভেনেজ়ুয়েলা নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প। জানালেন, সে দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ানে রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভেনেজ়ুয়েলার কথা বলেছেন ট্রাম্প। কিছু দিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইম্স একটি রিপোর্টে দাবি করেছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে মাদুরোর ফোনে কথা হয়েছে। ওয়াশিংটনে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠকও হতে পারে বলে দাবি করেছিল তারা। ট্রাম্পকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে উত্তরটা হল, হ্যাঁ।’’ কী কথা হয়েছে মাদুরোর সঙ্গে? ইতিবাচক না নেতিবাচক? সে সব আর খোলসা করতে চাননি ট্রাম্প। বলেছেন, ‘‘আমি বলব না ভাল কথা হয়েছে না খারাপ। তবে ফোনে কথা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশের দেশ ভেনেজ়ুয়েলার সঙ্গে আমেরিকার দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিবাদ আরও বেড়েছে। অভিযোগ, ভেনেজ়ুয়েলা থেকে বেআইনি ভাবে মাদক পাচার করা হয়। সেই মাদক ঢোকে আমেরিকায়। এতে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করে ট্রাম্প ভেনে়জ়ুয়েলার আশপাশের সমুদ্রে সেনা মোতায়েন করে দেন। মোতায়েন করা হয় বিশাল রণতরী। মাদুরোকে চাপে রাখতেই এই ধরনের পদক্ষেপ ট্রাম্প করছিলেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে গত তিন মাসে ভেনেজ়ুয়েলার কাছাকাছি ক্যারিবিয়ান সাগরে একাধিক হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। মাদক পাচারকারীদের জাহাজ এবং ডুবোজাহাজগুলিকে নিশানা করা হয়েছে। তবে ভেনেজ়ুয়েলা বার বার দাবি অস্বীকার করেছে।
শনিবার ট্রাম্প হঠাৎ সমাজমাধ্যমে ভেনেজ়ুয়েলা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেন। লেখেন, ‘‘সমস্ত বিমান সংস্থা, পাইলট, মাদক পাচারকারী এবং মানব পাচারকারীদের বলছি, ভেনেজ়ুয়েলা এবং তার চারপাশের আকাশসীমা একেবারে বন্ধ বলে ধরে নিন।’’ এর চেয়ে বেশি কিছু না বললেও অনেকেই মনে করছেন, ওই দেশের বিরুদ্ধে কোনও সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন সেনা। সেই কারণে বিমানগুলিকে আকাশসীমায় ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগনের তরফে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।