—ফাইল চিত্র।
ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব-সহ বহু নেটমাধ্যম আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ব্রাত্য’ করেছে। এ বার সেই সব নেটমাধ্যমকেই চ্যালেঞ্জ করে নিজের একটি নেটমাধ্যম তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তা প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। এর মধ্যে দিয়েই এ বার আমেরিকার মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই নেটমাধ্যম মারফতই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেখানে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলেও ওই সূত্র মারফৎ জানানো হয়েছে।
নেটমাধ্যম থেকে কখনওই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে টুইটারে তিনি বেশি সক্রিয় ছিলেন। ওই নেটমাধ্যমে বার বার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। টুইটারকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোরও অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। তার পরেও টুইটারে সক্রিয় ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন ঘটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে। এই নেটমাধ্যমকে ব্যবহার করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তাঁকে সতর্কও করে টুইটার। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
নির্বাচনে হেরে যখন ট্রাম্পের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, অভিযোগ, সেই টুইটারকেই ব্যবহার করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে ক্যাপিটল হিলের ঘটনায়। ট্রাম্পের হাজার হাজার সমর্থকের তাণ্ডবে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। যে হামলার ঘটনা গোটা বিশ্বে নিন্দিত হয়েছে। নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকেও।
নেটমাধ্যম তাঁকে ‘ব্রাত্য’ করলেও চুপ করে বসে থাকেননি ট্রাম্প। জনসংযোগ বাড়াতে নিজেই খুলে ফেলেছেন একটি নেটমাধ্যম। ট্রাম্প যে ফের নেটমাধ্যমে ফিরে আসছেন স্বমহিমায়, তা গত মার্চেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টা জেসন মিলার। তখন তিনি বলেছিলেন, “দেখতে থাকুন, আগামী দিনে কী করতে চলেছেন ট্রাম্প।” তার পরই প্রকাশ্যে আসে যে, স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি নেটমাধ্যম তৈরি করে ফের জনসংযোগের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy