Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

রুশ নিষেধে স্বাক্ষর ট্রাম্পের

এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে গত মঙ্গলবারই বিল পাশ হয়েছিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ। সেখানে নিষেধের পক্ষে ৪১৯টি ভোট পড়ে। তখন থেকেই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়, এই নিষেধ নিয়ে চাপের মুখে পড়তে চলেছেন প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ১০:৪০
Share: Save:

ইঙ্গিত মিলেছিল দিন পাঁচেক আগে। হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার উপরে নয়া নিষেধাজ্ঞায় সায় দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সকালে হোয়াইট হাউসের এক অফিসার জানিয়ে দিলেন, ওই নিষেধাজ্ঞায় সই করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে গত মঙ্গলবারই বিল পাশ হয়েছিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ। সেখানে নিষেধের পক্ষে ৪১৯টি ভোট পড়ে। তখন থেকেই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়, এই নিষেধ নিয়ে চাপের মুখে পড়তে চলেছেন প্রেসিডেন্ট। হলও তাই। সেনেটেও সমর্থন পেয়ে নিষেধ-প্রস্তাব পৌঁছল ট্রাম্পের টেবিলে। কূটনীতিকদের দাবি, বস্তুত সই না করে ট্রাম্পের আর উপায় ছিল না। তবে এর ফলে পুতিনের দেশের উপর থেকে কোনও নিষেধ তোলার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নিজের ক্ষমতাও খর্ব হল।

২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ, ক্রিমিয়ায় রুশ দখলদারি এবং সিরিয়ায় রুশ আগ্রাসন— মূলত এই সব কারণে নতুন করে মস্কোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। রাশিয়া ছাড়াও অন্য কারণে তালিকায় রাখা হয়েছে উত্তর কোরিয়া এবং ইরানকে।

আরও পড়ুন: শত্রু নন কিম, উল্টো মার্কিন সুরে ধোঁয়াশা

তবে বিতর্ক মূলত রাশিয়াকে নিয়েই। এর মধ্যে দুই শক্তিধর দেশের তিক্ততা বেড়েছে অনেকটাই। আমেরিকার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে ক্রেমলিনের তরফে। আগামী মাস থেকেই মস্কোয় কর্মরত মার্কিন কূটনীতিক ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিন প্রশাসন। এই নিষেধের প্রভাব পড়বে রুশ প্রতিরক্ষা এবং শক্তি ক্ষেত্রে।

নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্প সই করবেন কি না, তা নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়া-বিরোধী একটা উন্মত্ততা যেন চলছে আমেরিকায়। এমন একটা সাধারণ মার্কিন অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জেরে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট হতে চলেছে, এটাই দুঃখজনক।’’ তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা ছিল না। আর এই পদে থেকে উনি কী করছেন, সেটা দেখাও আমাদের কাজ নয়।’’

যদিও নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ডিসেম্বরে মেরিল্যান্ড এবং নিউ ইয়র্কে রাশিয়ার দু’টি কাজের জায়গা বাজেয়াপ্ত করেন। তখন থেকেই জটিলতার সূত্রপাত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE