Advertisement
E-Paper

চিনের পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের! আচমকা বড় ঘোষণা, বললেন, ওরা যা করেছে, কেউ করে না

ট্রাম্প জানিয়েছেন, বর্তমানে যা শুল্ক রয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত হিসাবে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। বর্তমানে চিনের উপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ হচ্ছে ১৩০ শতাংশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৩০
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

চিনের সমস্ত পণ্যের উপর আচমকা ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার সমাজমাধ্যমে তিনি এ কথা ঘোষণা করেছেন। চলতি মাসের শেষেই দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের কথা ছিল। সেই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চিনের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে একাধিক বার সংঘাত হয়েছে। সাময়িক ভাবে শুল্কযুদ্ধে বিরতি চলছিল। বর্তমানে চিনের উপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। আবার, মার্কিন পণ্যের উপর চিন নেয় ১০ শতাংশ শুল্ক। ট্রাম্পের শনিবারের ঘোষণার পর চিনা পণ্যে মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৩০ শতাংশে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, বর্তমানে যা শুল্ক রয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত হিসাবে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে।

চিনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের বাণিজ্যে রফতানি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। অভিযোগ, বাণিজ্যিক সঙ্গী সকল দেশকে জিনপিং রফতানি নিয়ন্ত্রণের চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, বিরল খনিজের রফতানি নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে বেজিং। এতেই চটেছেন ট্রাম্প। বিরল খনিজের ভান্ডারে চিন যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সারা পৃথিবীতে এই খনিজের চাহিদা প্রচুর। স্মার্টফোন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি, যন্ত্রপাতি, সামরিক সরঞ্জাম— বিবিধ ক্ষেত্রে বিরল খনিজ প্রয়োজন হয়। তার রফতানিতে রাশ টানায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চিন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটা অস্বাভাবিক আগ্রাসী নীতি নিয়েছে। সারা বিশ্বে ওরা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে বড় মাপের রফতানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওরা যা যা পণ্য তৈরি করে, প্রায় সবেতেই রফতানি নিয়ন্ত্রণের নীতি প্রযুক্ত হচ্ছে। এতে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনও ব্যতিক্রম নেই। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই ধরনের কথা আগে কখনও শোনা যায়নি।’’

চিনের এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে আমেরিকা তাদের পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। নতুন শুল্ক কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে। ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছেন, তাঁর এই পদক্ষেপের পর চিন যদি পাল্টা আরও কোনও পদক্ষেপ করে, তবে শুল্ক ১ নভেম্বরের আগেও কার্যকর হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এ ছাড়া, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সফ্‌টওয়্যারের উপর ১ নভেম্বর থেকে আমেরিকা রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতি আরোপ করবে, ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না চিন এই ধরনের একটা পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু ওরা এটা করেছে এবং বাকিটা ইতিহাস।’’

দ্বিতীয় বার আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর বাণিজ্যিক শুল্ককেই ‘হাতিয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছেন। দাবি, এর ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে চালকের আসনে রয়েছে আমেরিকা। রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার কারণে ভারতের পণ্যেও চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। বর্তমানে ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হয় ভারতীয় পণ্য থেকে। এত দিন এটাই ছিল আমেরিকা আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্ক, যা কেবল ভারত এবং ব্রাজ়িলের উপর প্রযোজ্য ছিল। এ বার চিনের উপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ এক লাফে হয়ে গেল ১৩০ শতাংশ।

US China Donald Trump Xi Jinping Donald Trump Tariff War US Tariff War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy