মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
এ বার নজর হ্যানয়ে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। ইতিমধ্যেই বেজিংকে ‘বাইপাস’ করে রেলপথে পাড়ি দিয়েছেন কিম। সাজছে ভিয়েতনাম। তুঙ্গে সতর্কতাও। গত জুনে সিঙ্গাপুরের পরে আরও একটা ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দুনিয়া। যদিও ভিয়েতনামের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে বিশেষ আশাবাদী মনে হল না। শুধু বললেন, ‘‘আশা করি, আমাদের মধ্যে খুব ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র-মুক্ত করা নিয়ে আমি বিশেষ তাড়াহুড়ো করতে চাই না। পিয়ংইয়্যাং যে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে, আমি তাতেই খুশি।’’
ট্রাম্প শিবিরের দাবি, ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে শেষ বারের মতো পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে কিমের দেশ। শেষ আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও তারা করেছিল ওই বছরেরই নভেম্বরে। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, পিয়ংইয়্যাংয়ের উপর থেকে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ইঙ্গিতও দেন প্রেসিডেন্ট। অথচ একটা সময় এই ট্রাম্পই বলতেন, ‘উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হলে, উচিত শিক্ষা দেব।’ এখন তাঁর দাবি, অনেকটাই সমঝে গিয়েছে পিয়ংইয়্যাং।
রবিবার মাইক পম্পেয়ো বলেন, ‘‘সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পরে উত্তর কোরিয়ার হাবভাব কিছুটা বদলালেও, ওরা এখনও বড় বিপদ। বিশেষত পরমাণু অস্ত্রের প্রশ্নে।’’ তাই তাঁর দাবি, এ বার ট্রাম্প পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে শুধু মুখের কথা নয়, কিমের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ চাইবেন। আজই রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মস্কোতে জানান, ভিয়েতনাম বৈঠকে কিমকে কী ভাবে সামলাতে হবে, তাদের কাছে সেই পরামর্শ চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে পাল্টা বিবৃতি না দিলেও, পরিস্থিতিতে নজর রাখছে হোয়াইট হাউস। বৈঠক সেরে ট্রাম্প ফিরে যাওয়ার পরেই হ্যানয়ে যাওয়ার কথা লাভরভের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy