মেক্সিকোর একটি ছোট্ট সুন্দর শহর ‘কেরেতারো’। কর্মসুত্রে বহু ভারতীয়ের বাস এ শহরে। গুটিকয়েক বাঙালিও আছেন বইকি!
এখানেও শরত এসেছে। নীল আকাশে সাদা তুলোর মত মেঘ। রাস্তার পাশ ঘেঁষেই জিনিয়া আর লন্টানা ফুলের সঙ্গেই দেখা পাওয়া যায় কাশফুলের। বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। প্রতি বছরের মত এ বছরও এই শহরের বাঙালিরা মাকে মহাসমারোহে বরণ করে নিতে ব্যস্ত। আর তো মাত্র ক’টা দিন।
‘কেরেতারো সার্বজনীন’ আয়োজিত এই পুজো, শহরের একমাত্র পুজো। এ বছর পুজো হবে একদিনে। গত তিন বছর নিজেরাই প্রতিমা বানালেও, এ বারের প্রতিমা মেক্সিকোর শিল্পীরা বানাচ্ছেন। ইউনিটেক বিশ্ববিদালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা এ বারের কারিগর। মেক্সিকান অলেব্রিহে স্টাইলে তৈরি হবে এ বারের প্রতিমা। অলেব্রিহে হল ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকান হস্তশিল্প যা কার্ডবোর্ড এবং কাঠ দিয়ে বানানো হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রঙ এবং অসাধারণ নকশা। ১৯৩০ সালে মেক্সিকো সিটিতে শিল্পী পেদ্রো লিনারেস দ্বারা উদ্ভুত হয়েছিল এই শিল্পশৈলি এবং পরবর্তী কালে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এই বছর আমাদের মা দুর্গাও এই মেক্সিকান লোকশিল্প এবং সৃজনশীলতায়সেজে উঠবেন।
প্রতিমা মেক্সিকান সাজে সাজলেও মণ্ডপসজ্জায় থাকবে বাঙালিয়ানা। আলপনা এবং বাঙালি সাবেকিয়ানার নিদর্শন হচ্ছে এ বারের মণ্ডপসজ্জার বিশেষত্ব। তাই নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। ছুটির দিনগুলোই ভরসা। হাতে হাত মিলিয়ে শেষ করা হচ্ছে পুজোর সমস্ত আয়োজন।
পুজো এক দিনে হলেও মানা হবে পুজোর সমস্ত নিয়মকানুন। পুজোর সরঞ্জাম দেশ থেকে আনা হয়। সর্বজনীন এই পুজোয় সবার জন্য থাকবে প্রসাদের ব্যবস্থা। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এতে অংশ নেবেন মেক্সিকোতে অবস্থানরত ভারতীয় এবং মেক্সিকান শিল্পীরা। এ বছর আশা করা হচ্ছে, দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার ছোঁবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)