—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারালেন আট জন। সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শিকাগোর মফস্সল অঞ্চলের তিনটি জায়গা থেকে আটটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে যাঁর নাম উঠে আসছে, সেই বছর তেইশের যুবক রোমিও ন্যান্স অবশ্য ‘নিখোঁজ’। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
ইলিনয় প্রশাসন এবং স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে ওই আট জনকে খুন করা হল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। নিহতদের মধ্যে সাত জন দু’টি পরিবারের লোক বলে জানা গিয়েছে। পরিবার দু’টির সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, অভিযুক্তকে খুঁজতে সাহায্য করছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর বিশেষ টাস্ক ফোর্স।
তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্য নিয়ে রবিবার এবং সোমবার এই দু’দিনে অভিযুক্তকে একাধিক জায়গায় চিহ্নিত করেছে। তখনই সমাজমাধ্যমে ওই যুবককে ‘সশস্ত্র এবং ভয়ঙ্কর’ বলে অভিহিত করে বাসিন্দাদের সাবধান করার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। তার পর রবিবার উইল কাউন্টি থেকে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার জোলিয়েট শহরে দু’টি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মোট সাত জনের দেহ। নিহতদের প্রত্যেকের শরীরেই গুলির ক্ষত ছিল।
জোলিয়েটের পুলিশ প্রধান সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে জানান, তিনি তাঁর ২৯ বছরের কর্মজীবনে এই ধরনের ভয়ঙ্কর অপরাধের কখনও দেখেননি। তবে পুলিশ মনে করছে, অভিযুক্ত যুবক আগে থেকেই তাঁর ‘শিকার’ চিহ্নিত করে রেখেছিলেন।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতারও হন। ২০২৩ সালে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেও সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
আমেরিকায় অবশ্য বন্দুকবাজের হামলায় আগেও বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আগেও সে দেশে অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবি উঠেছে। সে দেশের ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’-এর একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের তিনটি সপ্তাহেই আমেরিকায় বন্দুক হামলায় ৮৭৫ জন মারা গিয়েছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy