Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের ‘যৌন কেলেঙ্কারি’ সংক্রান্ত পোস্ট সমাজমাধ্যম থেকে মুছলেন মাস্ক! চাপ না কি অন্য ইঙ্গিত?

বৃহস্পতিবার মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছিলেন, ‘এপস্টিন ফাইল’-এ ট্রাম্পের নাম রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে ‘বড় বোমা’ ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মাস্ক। তিনি আরও দাবি করেন, শুধু এই কারণেই ফাইলটি প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৮:৩৮
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। — ফাইল চিত্র।

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের ফাইলে নাম রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। দিন দুয়েক আগে এমনটাই দাবি করেছিলেন একদা ‘ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ’ ধনকুবের ইলন মাস্ক। এ বার সেই পোস্ট সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দিলেন তিনি।

শনিবার দুপুরে বিতর্কিত পোস্টটি ডিলিট করেছেন টেসলা-কর্তা। বৃহস্পতিবার মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছিলেন, ‘এপস্টিন ফাইল’-এ ট্রাম্পের নাম রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে ‘বড় বোমা’ ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মাস্ক। তিনি আরও দাবি করেন, শুধু এই কারণেই ফাইলটি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বোমা সংক্রান্ত পোস্টটি উদ্ধৃত করে মাস্ক পুনরায় লেখেন, “ভবিষ্যতের জন্য এটা মাথায় রেখে দিন। সত্যি সামনে আসবেই।” কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মাথায় সেই পোস্টটি মুছে ফেলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জেফ্রি এপস্টিন নামের এক কুখ্যাত যৌন অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে এক জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন ভার্জিনিয়া জিফরে নামের এক মহিলা। মামলার নথিতে এপস্টিন-ঘনিষ্ঠদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। ইতিমধ্যে একাধিক বার কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, ওই ফাইলে নাম রয়েছে বিল ক্লিন্টন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টিফেন হকিং থেকে মাইকেল জ্যাকসন-সহ বিশ্বের তাবড় ব্যক্তির। এপস্টিনের নথি অনুযায়ী, এঁরা প্রত্যেকেই তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় যৌনাচারে যুক্ত ছিলেন। এ-ও শোনা যায়, এপস্টিনের বিলাসবহুল বিমান ‘লোলিটা এক্সপ্রেস’-এ চেপে বেশ কয়েক বার বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। চলতি বছরের গোড়ায় ওই ফাইলের একাংশ প্রকাশ্যে আনা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাস্ক ওই ফাইলের পুরো অংশ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান। শুধু তা-ই নয়, একটি সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি প্রশ্নকর্তার সুরে সুর মিলিয়ে মাস্ককে বলতে শোনা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ (পদচ্যুত) করা উচিত এবং তাঁর জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে বসানো উচিত। প্রতিক্রিয়া হিসাবে ট্রাম্পও বলেন, “আমি ইলনের ব্যাপারে খুবই হতাশ। ওঁর সঙ্গে আর দারুণ সম্পর্ক থাকবে কি না জানা নেই।” একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে বোঝা গিয়েছিল, দু’জনের মধ্যে ‘দারুণ সম্পর্ক’ আর নেই। তবে শনিবার মাস্ক পোস্ট ডিলিট করায় ফের দানা বেঁধেছে জল্পনা। এই ঘটনা ট্রাম্প-মাস্ক ঠান্ডা যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে, এ বার হয়তো নিজেদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নিতে পারেন দু’জনে।

Elon Musk President Donald Trump US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy