সংস্থা বাঁচাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন ইলন মাস্ক? —ফাইল চিত্র।
শুক্রবার সকালে অন্তত তিন হাজার টুইটার সংস্থার কর্মীকে ছাঁটাই করলেন টুইটারের নয়া কর্তা ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার সাফল্যের জন্য এই পদক্ষেপ ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে জরুরি’। কিন্তু কর্মী ছাঁটাই কী ভাবে সংস্থার ভাগ্য ফিরিয়ে আনবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ইলন যদি এই পদক্ষেপ না করতেন, তা হলে ২০২৩ সালের অর্থবর্ষে ৭০ কোটি ডলারের (ভারতীয় অর্থে ৫৭ হাজার কোটি টাকা) ক্ষতি হয়ে যেত। কর্মী ছাঁটাই করার ফলে সংস্থার খরচ অনেকটাই কমবে বলে সূত্রের খবর।
গত বছর থেকেই লোকসানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল টুইটার সংস্থা। তার আগের বছরেও লাভের মুখ সেই ভাবে দেখেনি টুইটার। মাস্ক এবং তাঁর সহযোগীদের দাবি, তাঁরা আগামী অর্থবর্ষেও লাভের মুখ দেখতে পেতেন না। তাই সংস্থার ভবিষ্যৎ বাঁচাতে তিনি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
টুইটারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ‘‘টুইটারকে একটি স্বাস্থ্যকর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য শুক্রবার আমরা বিশ্ব জুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন পদক্ষেপ করছি। আমরা জানি যে, এর ফলে টুইটারের জন্য অবদান রয়েছে, এমন কর্মীদের সংখ্যায় কোপ পড়বে। কিন্তু সংস্থার সাফল্যের জন্য এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে জরুরি।
শুক্রবার সকাল ৯টার (আমেরিকার সময়) মধ্যে ইমেলের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভারতে টুইটারের মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস বিভাগের সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই যাঁরা এখনও মেল পাননি তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁদের অনেকেরই আশঙ্কা, ভারতে বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে সংস্থা। শুক্রবার সকালে মেল পাওয়ার পরে কাজ করা বন্ধ করে দেন অধিকাংশ কর্মচারী। যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন, তাঁরা ‘লগ আউট’ করে দেন।
তবে, ছাঁটাই হওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ না করে আবেগঘন টুইট করেছেন ২৫ বছর বয়সি টুইটারের এক প্রাক্তন কর্মী যশ আগরওয়াল। জনসংযোগ বিভাগে কাজ করতেন তিনি। নিজের একটি ছবি-সহ টুইটটি করেছিলেন যশ। ছবিতে টুইটারের লোগো আঁকা কালো টি-শার্ট পরে দু’হাতে টুইটারের লোগো লাগানো কুশন নিয়ে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবক। ছবিটি সম্ভবত টুইটারের অফিসেই তোলা হয়েছিল। ছবির তলায় ওই যুবক লিখেছেন, ‘‘এই মাত্র আমাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। টুইটারে কাজ করা আমার কাছে পরম সম্মানের। এখনও পর্যন্ত আমার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বড় সুযোগ।’’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ লাভ টুইটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy