ফাইল চিত্র।
আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা, ওমিক্রন, আর এখন কোভিড-অভিধানে নিওকোভ। গ্রিক নামের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই ভাইরাস-যুদ্ধের মধ্যেই কী ভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব, সেই ‘টোটকার’ উপরেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মূল দাওয়াই একটাই— টিকাকরণ।
আমেরিকার মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ফাহিম ইউনুস বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে কোভিড সংক্রমণ অপ্রতিরোধ্য, কিন্তু টিকাকরণের মাধ্যমে সংক্রমণের গতি আটকানো সম্ভব। সময়ের সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতি হবে। ভ্যাকসিন আরও কার্যকরী হবে।’’ সময় মতো বুস্টার ডোজ় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউনুস। তাতে সংক্রমণ ঘটলেও বাড়াবাড়ি হওয়ার ঝুঁকি কমবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যত ক্ষণ টিকা নিচ্ছি, ভাল মানের মাস্ক পরছি, তত ক্ষণ এর সঙ্গে বাঁচা সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।’’
করোনা-বিধির কড়াকড়ি, নিয়মিত টিকাকরণ, মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি— এ সব নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্বের একাংশ। বর্তমানে যেমন সরকারি বিধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কানাডাবাসীর একাংশ। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে নিরাপত্তার খাতিরে গোপন স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। সোমবার তাঁর করোনাও ধরা পড়েছে। ইউরোপের একাংশও টিকা-বিরোধিতা জানিয়ে চলেছে। গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ঘোষণা করেছিলেন, সকলকে টিকা নিতে হবে। ভ্যাকসিন যাঁরা নেবেন না, তাদের দাম দিতে হবে। অনেকেরই বক্তব্য, দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করে করোনা-বিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, এ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা হাতাশাদায়, ক্লান্তিকর। এ প্রসঙ্গে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ইউনুস টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘অভিযোগ করে ভাল কিছু হবে না। বরং সরকারি বিধিকে সম্মান জানালে উপকার হবে। এমন অনেক কিছু হচ্ছে, যার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy