Advertisement
০২ মে ২০২৪
Iran-Israel Conflict

ইরানে প্রত্যাঘাত করল ইজ়রায়েল, ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইসফাহানে, নিশানায় বিমানবন্দর, পরমাণুকেন্দ্র?

ঘটনাচক্রে, ইসফাহান এলাকাতেই রয়েছে নাতাঞ্জ-সহ ইরানের কয়েকটি পরমাণু গবেষণা এবং ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্র। সেখানকার একটি বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে।

ইসফাহান বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ।

ইসফাহান বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪১
Share: Save:

সপ্তাহ ঘোরার আগেই ‘জবাব’ দিল ইজ়রায়েল। শুক্রবার ভোরে তারা ইরানের ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ় এই খবর জানিয়েছে। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ইসফাহানে বিস্ফোরণের খবর দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি বিমানবন্দরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিশানা হয়েছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির খবর।

ঘটনাচক্রে, ইসফাহান এলাকাতেই রয়েছে নাতাঞ্জ-সহ ইরানের কয়েকটি পরমাণু গবেষণা এবং ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্র। ইরান সরকার ইজ়রায়েলি হামলার কথা স্বীকার করে কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংসের দাবি করেছেন। গত শনিবার ইরান ফৌজ ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ‌এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলে। তার পরেই প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও জানিয়েছিলেন, ইজ়রায়েল প্রত্যাঘাত করবেই।

অন্য দিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি পাল্টা দাবি করেন— ইজ়রায়েল হামলা করলে তার প্রত্যাঘাত হবে অত্যন্ত ভয়ানক। যদিও আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইজ়রায়েলকে হামলা না করার অনুরোধই করে আসছে বরাবর। আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু তেল আভিবের এই প্রত্যাঘাতের জেরে পশ্চিম এশিয়ায় আবার যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইজ়রায়েলে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির ঘটেনি। তার আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র বিমানহানা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক এবং সামরিক প্রতিনিধি। তারই ‘জবাব’ দিতে ১৩ এপ্রিল রাতে হামলা চালানো হয় বলে তেহরানের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE