Advertisement
E-Paper

কিমের দেশেও করোনা-আতঙ্ক

দেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে দক্ষিণে কিসং শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেন শাসক কিম জং উন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০৪:৪০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এ দেশ এমনিতেই ‘তালাবন্ধ’। সারা বছর বিদেশিদের আনাগোনা খুব কম। এ দেশ থেকে অন্যত্র যাতায়াতও হাতেগোনা। তা-ও বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলতেই জানুয়ারি মাসের শেষে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষরক্ষা হল না। প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর মিলল উত্তর কোরিয়া থেকে। তবে এখনও রিপোর্ট নিশ্চিত নয়।

দেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে দক্ষিণে কিসং শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেন শাসক কিম জং উন। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার চিকিৎসা পরিকাঠামো তেমন মজবুত নয়। অতিমারি সামলানো তাদের পক্ষ কঠিন হতে পারে। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে তারা রোগ প্রতিরোধের উপরে জোর দিচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশ জুড়ে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে লোকটির করোনা সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। ১৯ জুলাই বেআইনি ভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে দেশে ঢোকেন। দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য তাদের সীমান্ত দিয়ে উত্তরে কারও প্রবেশের খবর অস্বীকার করেছে। পিয়ংইয়্যাং প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযুক্ত রোগীকে সীমান্ত শহর কিসংয়ে পাওয়া যায়। কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন, খোঁজ করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘ভয়াবহ পরিস্থিতি... মারণ বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে।’’

বিশ্বে করোনা

মৃত
৬,৫০,৪৩৭

আক্রান্ত
১,৬৩,৩৪,১৪০

সুস্থ
৯৯,৮৯,০৪২

দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের হার এখন অনেকটাই কম। সংক্রমণ তালিকাতেও অনেক পিছনে, ৭৩। এখন দিনে ৪০ থেকে ৬০ জনের দেহে নতুন করে ভাইরাস মিলছে। মোট সংক্রমিত ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনশোর কাছাকাছি। আমেরিকায় যথারীতি একই পরিস্থিতি। শনিবার নিয়ে পরপর পাঁচ দিন হাজারের উপরে মৃত্যু। মোট মৃত্যু দেড় লাখের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮,২১২ জন। গত ১২ দিনের এক দিনও ৬০ হাজারের নীচে সংক্রমণ হয়নি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত কমপক্ষে ২৪ লক্ষ। মারা গিয়েছেন সাড়ে ৮৬ হাজার। মৃতের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে ব্রিটেন। সে দেশে মারা গিয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের নিরিখে চতুর্থ মেক্সিকো, মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে। এই দুই দেশে (ব্রিটেন ও মেক্সিকো) সংক্রমিতের সংখ্যা তালিকার শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলোর থেকে কম। অর্থাৎ মৃত্যুহার বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় মোট সংক্রমিত ১৪ হাজারের মতো। অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে অভিবাসন কমে গিয়েছে এ দেশে। ২০১৮-’১৯ সালে ২,৩২,০০০ জন নতুন অভিবাসী এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেটা এ বছর কমে ৩১ হাজার।

Coronavirus Health Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy