ঢাকায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে তাণ্ডব চালানোর সময় একটি বেসমেন্টের (ভূগর্ভস্থ তল) খোঁজ পেয়েছেন বাংলাদেশি জনতা। শেখ মুজিবরের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সীমানার মধ্যেই একটি নির্মীয়মাণ ভবন ছিল। ওই ভবনেও গিয়ে পড়েছিল জনতার রোষ। নির্মীয়মাণ ওই ভবনে তাঁরা একটি বেসমেন্টের খোঁজ পান। সেটি সম্পূর্ণ ভাবে জলে নিমজ্জিত। ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া মুজিবের বাসভবন দেখতে আসা জনতাদের মনে ওই বেসমেন্ট ঘিরে কৌতূহল দানা বেঁধেছে। অনেকেই দাবি করছেন, সেটির নীচে না কি ‘আয়নাঘর’ রয়েছে। রবিবার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনীও। দমকলকর্মীরা ওই বেসমেন্ট থেকে জল বার করা শুরু করা হয়।
‘আয়নাঘর’ হল বাংলাদেশের গোপন বন্দিশালা। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সে দেশে প্রচুর গুমখুনের অভিযোগ উঠেছে। শোনা যেত, সরকারের একটি গোপন বন্দিশালা রয়েছে, যার নাম আয়নাঘর। সেখানে দিনের পর দিন বিনা বিচারে অভিযুক্তদের আটকে রাখা হত বলে অভিযোগ। এমনকি, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেও ঠাঁই হত গোপন ওই বন্দিশালায়। অভিযোগ, সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ খুন, গুমখুন বা অপহরণ করে আয়নাঘরে বন্দি করে রাখার মতো কাজ করেছে একাধিক বার। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে ‘আয়নাঘর’-এর অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেছে।
৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে ভাঙচুরের পরে সে দেশে জনতার একাংশের সন্দেহ নির্মীয়মাণ ভবনের বেসমেন্টেও একটি ‘আয়নাঘর’ থাকতে পারে। এ কথা চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই কৌতূহলী মানুষজনের ভিড় জমতে শুরু করে ওই জল জমা বেসমেন্ট দেখার জন্য। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সামনের রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে গিয়েছে। মানুষ ভিড় জমেছে ফল, আইসক্রিম, আখের রসের দোকানে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক মানুষ আসছেন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য। ভিড় হচ্ছে নির্মীয়মাণ ওই ভবনের বেসমেন্টের কাছেও।
আরও পড়ুন:
‘প্রথম আলো’ জানায়, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ সেখানে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পাম্পের সাহায্যে নির্মীয়মাণ ভবনটির ভূগর্ভস্থ তলে জমা জল বার করেন তাঁরা। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, দমকলের তিনটি ইউনিট জল বার করা শুরু করেছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে দমকল অফিসের আধিকারিক আফনান ইসলাম লিমন জানান, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই জল বার করার জন্য। এর বেশি তাঁরা কিছু জানেন না।