বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি এখনও। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে গেল হানাহানি। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক তথা চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালি) আসনের ঘোষিত প্রার্থী এরশাদউল্লা বুধবার প্রচারে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, চান্দগাঁও চালিতাতলি খন্দকারপাড়া এলাকায় এরশাদের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর দুই সঙ্গীও।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বুধবার সন্ধ্যায় জানান, নির্বাচনী প্রচারের সময় নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ-সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ‘রাজনৈতিক কারণেই’ এই হামলা কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ভোটের চার মাস আগেই গত সোমবার ‘সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা’ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ২৩৭টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:
এ বারের নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা ফেনী–০১, বগুড়া–০৭ এবং দিনাজপুর–০৩ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্য দিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা খালেদার পুত্র তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসনে। তারেখ বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তিনি কবে দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বিএনপির তরফে। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।