ইউরোপীয় গণমাধ্যম ‘ফ্রান্সের ইতিহাসে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বৃহত্তম ঘটনা’ বলে চিহ্নিত করেছিল। সেই মামলায় বুধবার ২০ বছরের জেলবাসের শাস্তি হল ৭৪ বছরের ফরাসি শল্যচিকিৎসক জোয়েল লে স্কুয়ারনেকের।
১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন জোয়েল। ২০১৭ পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবার কাজ করার পরে অবসর নিয়েছিলেন। তিনি অন্তত ১১১ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ১৮৮ জনের উপর যৌন নির্যাতন করেছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে আদালত। এদের মধ্যে ২৫৬ জন ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পশ্চিম ফ্রান্সের ১৫টি হাসপাতালে জোয়েলের কাছে চিকিৎসাধীন ছিল।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে জোয়েল তাঁর ‘শিকার’দের মাদক বা চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করে নির্যাতন করেছিলেন। অবসরের পরেও একই কায়দায় কয়েকটি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ওই শল্যচিকিৎসক। মাদকের মাত্রা বেশি হওয়ায় ২০২১ সালে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। তার পরিবার সেটিকে আত্মহত্যার ঘটনা ভেবেছিল। ২০২০ সালেও এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে জোয়েলের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
চার মাসের বিচারপর্বের পরে গত সোমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন জোয়েল। যদিও গত মার্চ মাসেই জোয়েলের আইনজীবী আদালতের সামনে তাঁর মক্কেলের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ফান্সের আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা ২০ বছরের জেলবাস। (বস্তুত, সে দেশে ১৫ বছরের কমবয়সির সঙ্গে কোনও প্রাপ্তবয়স্কের যৌন সংসর্গও ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’)। সরকারি আইনজীবী সেই সাজা দেওয়ারই আবেদন জানিয়েছিলেন বিচারকের কাছে। সেই আর্জি মেনে বুধবার সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।