আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন-এর (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক ও জুবাইদার আবেদনে সাড়া দিয়ে ঢাকা হাই কোর্টের আপিল বিভাগ বুধবার তাঁদের খালাস করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আর তার পরেই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দাবি তুললেন।
দুদক মামলায় মুক্তি পাওয়ার পরে বুধবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা করেন তারেক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু হয়েছে। অল্প সংস্কার না, বেশি সংস্কার এ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করাতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন করানোর বার্তা দিলেও বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের দাবিতে অনড়। সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামানও ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই আবহে তারেকের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির একটি সূত্রে জানাচ্ছে, শীঘ্রই দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেন খালেদা-পুত্র।
গত বছরের অগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। গত ন’মাসে তারেকের উপর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ, রাজনৈতিক হিংসা, মানহানি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বার দুদকের দায়ের করা ‘আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি’র মামলার সাজা থেকেও মুক্তি পেলেন তিনি। হাসিনার জমানাতেই গ্রেফতারি এড়াতে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারেক। তাঁর মা খালেদা লন্ডনে চিকিৎসার পরে চলতি মাসে ঢাকায় ফিরেছেন। তাঁর সঙ্গেই দেশে ফিরেছেন তারেকের স্ত্রী জুবাইদাও।