পহেলাগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার পরই সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছিল, সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের কোনও ছাড় নেই। ভারতের এই সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে দৃঢ় সমর্থন জানাল জার্মানি। এক বিবৃতিতে জার্মানের বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল পহেলগাঁও কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন রয়েছে।
বিবৃতিতে জার্মানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘২২ এপ্রিল ভারতে যে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তাতে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের।’’ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রশংসাও করেছেন তিনি। যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন জার্মানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, জার্মানি এবং ভারত সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। একই সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করারও পরিকল্পনা চলছে।
জোহান যখন এই বিবৃতি দিয়েছেন, তখন জার্মানিতেই রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জ়িরো টলারেন্স নীতিতেই বিশ্বাসী। ভারত কখনই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের কাছে নতি স্বীকার করবে না।’’ শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ভারত কেবল দ্বিপাক্ষিক মাধ্যমেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এই বিষয়ে কোনও মহলে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।’’ জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার সকলেরই রয়েছে। জার্মানির এই দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা মূল্য দিই।’’
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দা করে। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছে। এই আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নতুন স্বাভাবিক’ পরিস্থিতির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদী যে কোনও কর্মকাণ্ডকেই ভারত যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করবে এবং তার জবাব দেবে।