সিঁড়িতে ধাপে ধাপে ফুল সাজানো। মোমবাতি জ্বলছে টেবিলের উপর। দুঃখের আবহ চার দিকে। কারও চোখে জল। কেউ বা চুপচাপ বসে আছে। জার্মানির কোলোন ক্যাথিড্রালের ছবিটা খানিকটা এরকমই।
গত ২৪ মার্চ বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে আলপ্সের দুর্গম অঞ্চলে ভেঙে পড়েছিল জার্মানউইঙ্গসের এয়ারবাস এ৩২০। মৃত্যু হয়েছিল ১৪৪ যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মীর। তাঁদেরই প্রায় ৫০০ জন আত্মীয় হাজির হয়েছিলেন কোলোন ক্যাথিড্রালে এক স্মরণ সভায়। উপস্থিত ছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গক এবং স্পেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। তা ছাড়াও ফ্রান্স এবং স্পেনের অন্যান্য মন্ত্রী আর জার্মানউইঙ্গস এবং লুফৎহানসার নানা কর্তা ব্যক্তিরাও হাজির ছিলেন সেই স্মরণ সভায়।
ক্যাথিড্রালের বাইরে ভিড় জমেছিল বেশ। সকলের জন্য লাগানো হয়েছিল বড় বড় পর্দা। জার্মানির সব জায়গাতেই অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছে পতাকা। সারা দেশ জুড়ে দুঃখের সুর। জার্মানউইঙ্গসের ওই বিমানে ছিল একটি স্কুলের ১৬টি শিশু। এবং দুই শিক্ষক। ক্যাথিড্রালের প্রর্থনা সঙ্গীতে ওই স্কুলেরই ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার কথা।
বিমানের উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকে জানা গিয়েছিল, কো-পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ ইচ্ছে করেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। তিনি যে আগে থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে সে তথ্যও। তার পর উঠে এসেছে আর একটা প্রশ্নও। অনেকেরই মত, বিমানের নিরাপত্তা বাড়াতে ‘চালকহীন’ অবস্থায় বিমান চালানো উচিত। তবে সেটাও কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy