Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

শরণার্থী শিশুর মৃত্যুর কথা শুনে চোখে জল কর্তেজ়ের

ইয়াসমিনের কথা শুনে শুধু আলেকজ়ান্দ্রিয়া নন, আরও কয়েক জন এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন মেয়ে-হারা মাকে। গত কাল মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামনে রেখে সাক্ষ্য দিয়েছেন ইয়াসমিন।

সন্তানহারা: মেক্সিকোর শরণার্থী শিবিরে হারিয়েছেন দেড় বছরের মেয়েকে। মেয়ে মারির ছবি পাশে নিয়েই মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে সেই গল্প শোনালেন গুয়াতেমালা থেকে পালিয়ে আসা ইয়াসমিন জুয়ারেজ়। এএফপি

সন্তানহারা: মেক্সিকোর শরণার্থী শিবিরে হারিয়েছেন দেড় বছরের মেয়েকে। মেয়ে মারির ছবি পাশে নিয়েই মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে সেই গল্প শোনালেন গুয়াতেমালা থেকে পালিয়ে আসা ইয়াসমিন জুয়ারেজ়। এএফপি

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৫:৫০
Share: Save:

দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে গুয়াতেমালা থেকে প্রাণ বাঁচাতে এসেছিলেন আমেরিকায়। গত বছর মার্কিন অভিবাসন দফতর সেই মা, ইয়াসমিন জুয়ারেজ়কে আটকে দেয়। তার পরের গল্পটা শুধু হারানোর। যা শুনে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ়। মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এক শুনানিতে গুয়াতেমালার শরণার্থী ইয়াসমিন জানিয়েছেন, বছর পেরিয়েছে। কিন্ত তাঁর মেয়েটা আর তাঁর কাছে নেই। মেক্সিকো সীমান্তের ডিটেনশন সেন্টারে ২০ দিন আটক থাকার পরে ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ হয়েছিল শিশুটির। রোগে ভুগে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় সে।

ইয়াসমিনের কথা শুনে শুধু আলেকজ়ান্দ্রিয়া নন, আরও কয়েক জন এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন মেয়ে-হারা মাকে। গত কাল মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামনে রেখে সাক্ষ্য দিয়েছেন ইয়াসমিন। জানিয়েছেন, প্রাণ বাঁচাতে গুয়াতেমালা ছেড়ে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মেয়ে মারিকে নিয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। আশ্রয় চাইলেও তাঁদের ভয়ানক একটি ঠান্ডা খাঁচায় বেশ কিছু দিন আটকে রাখা হয়। তার পরে পাঠানো হয় আইসিই ডিটেনশন সেন্টারে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে মারি। ইয়াসমিনের কথায়, ‘‘আমি চিকিৎসকদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি, আমার মেয়েটাকে একটু দেখুন। ওঁরা দেখেননি। আইসিই থেকে ছাড়ার পরে আমি মারিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটেছিলাম। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। মারি আর হাসপাতাল থেকে ফেরেনি।’’

এর পরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইয়াসমিন বলেন, ‘‘আটক শিশুদের রক্ষা করা আমেরিকার মতো একটা দেশের পক্ষে এত কঠিন কাজ! গোটা বিশ্বের জানা উচিত এ সব কিছু।’’ আমেরিকায় শরণার্থীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, তা জানতে হাউসের ‘ওভারসাইট এবং রিফর্ম’ কমিটি সাক্ষ্য নিয়েছে ইয়াসমিনের মতো অনেকের।

আবেগ: ইয়াসমিনের কথা শুনে চোখে জল মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ়ের। রয়টার্স

গত সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতরের প্রধান বলেছেন, আমেরিকায় ডিটেনশন সেন্টারে যে ভাবে শণার্থীদের রাখা হচ্ছে, তা দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পর্যবেক্ষক সংস্থা গত সপ্তাহে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে শরণার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। মধ্য আমেরিকার হিংসা, দারিদ্র থেকে বাঁচতে গিয়ে এই শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে এসে ‘ভয়ঙ্কর’ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Alexandria Ocasio-Cortez Migrants Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE