Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Balochistan Attack

পাকিস্তানের বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের হানা, জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে গুলি চালিয়ে খুন ১০ যাত্রীকে

বালুচিস্তান পুলিশের দাবি, ঘাতক বাহিনী খুনের আগে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে পঞ্জাবীদের চিহ্নিত করে। তার পর তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি চালিয়ে খান করে।

জঙ্গি হানার পরে বালুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা।

জঙ্গি হানার পরে বালুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪০
Share: Save:

আবার হামলা পাকিস্তানের হিংসাদীর্ণ বালুচিস্তান প্রদেশে। শনিবার ভোরে নোশকির কাছে জাতীয় সড়কে একটি বাস এবং একটি ছোটো গাড়ি থামিয়ে ১০ জনকে গুলি করে খুন করা হল। গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন চার জন। অভিযোগের তির স্বাধীন বালুচিস্তানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র দিকে।

ঘটনাচক্রে, দু’টি গাড়িই পাক পঞ্জাব প্রদেশের। একটি চেকপোস্টের কাছে গাড়ি দু’টি থামিয়ে বেছে বেছে পঞ্জাবিদের খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, বালুচ স্বাধীনতা যোদ্ধাদের মূল অভিযোগ পঞ্জাবি আধিপত্যের বিরুদ্ধে। কোয়াটা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হাবিবুল্লা মুসাখেল পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-কে বলেন, ‘‘১০-১২ জন বন্দুকধারী নোশকির কাছে সুলতান চরহাইয়ের কাছাকাছি কোয়েটা-তাফতান হাইওয়ে এনএইচ-৪০ অবরোধ করে বাস থেকে যাত্রীদের বেছে বেছে টেনে এনে গুলি করে।’’

হাবিবুল্লার দাবি, ঘাতক বাহিনী খুনের আগে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে পঞ্জাবিদের চিহ্নিত করে। হামলার পরেই পাক আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোর এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকায় পৌঁছে ঘাতক বাহিনীর বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত মাসেই বালুচিস্তানের বন্দর শহর গ্বদরে হামলা চালিয়েছিল বিএলএ-র আত্মঘাতী বাহিনী। গত বছর বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটাতেও তারা হামলা চালিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে ‘বালোচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ), ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)-র মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ। এমনকি, সম্প্রতি গ্বদর উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরাও চিনাদের আপত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE