রাশিয়ায় গির্জা এবং সিনাগগ লক্ষ্য করে হামলা। ছবি: সংগৃহীত।
আবার হামলা রাশিয়ায়। একই সঙ্গে দু’টি শহরের কয়েকটি গির্জা, ইহুদিদের উপাসনাস্থল সিনাগগ এবং একটি পুলিশ ঘাঁটি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরা। নিহত হয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক যাজক এবং কয়েক জন পুলিশকর্মী। রাশিয়ার ডাগেস্তানের উত্তর ককেশাস অঞ্চলের ঘটনা। ডাগেস্তানের গভর্নরের দাবি, এটি ‘সন্ত্রাস হামলা’।
গভর্নর সেরগেই মেলিকভ জানিয়েছেন, ডাগেস্তানের বৃহত্তম শহর মাখাচকালা এবং উপকূলবর্তী শহর ডারবেন্টে এক সঙ্গে বন্দুক-হামলা চালায় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাখাচকালায় তাদের চার জন কর্মী এবং ডারবেন্টে দু’জন কর্মী নিহত হয়েছেন। মেলিকভ আরও জানিয়েছেন, ডারবেন্টে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক যাজকেরও মৃত্যু হয়েছে। তিনি ৪০ বছর ধরে গির্জায় কাজ করতেন।
মেলিকভ এই হামলা নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। তিনি ঘটনার নেপথ্যে ইউক্রেনের হাত দেখছেন। যদিও সরাসরি বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার জানি হামলার নেপথ্যে কারা। তাদের উদ্দেশ্যও জানি। আমাদের বুঝতে হবে যে, যুদ্ধের আঁচ আমাদের ঘরে এসে পৌঁছেছে। আজ এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছি।’’ দুই শহরেই অভিযুক্তদের ধরার অভিযান শেষ হয়েছে। ছ’জন আততায়ীকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলিকভ। হামলাকারীদের বাকি সঙ্গীদের খোঁজ চলছে। বুধবার পর্যন্ত ডাগেস্তানে শোকপালন করা হবে। অর্ধেক নামানো থাকবে জাতীয় পতাকা। কোনও বিনোদনের অনুষ্ঠান হবে না।
এই ঘটনার দায় কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী নেয়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ধৃতদের মধ্যে দু’জন ডাগেস্তানের সারগোকালা জেলার প্রধানের ছেলে। সংবাদমাধ্যমকে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডারবেন্টে সিনাগগ এবং গির্জা, দু’টিতেই আগুন ধরানো হয়েছে। তিন মাস আগেই মস্কোর কাছে একটি প্রেক্ষাগৃহে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। নিহত হন প্রায় ১৪৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy