E-Paper

গাজ়ায় নিহত হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইশা

৭ অক্টোবরের হামলায় ১২০০ ইজ়রায়েলি নিহত হন। অন্তত ২৫০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যেরা। সেই ঘটনার জেরেই যুদ্ধ বাধে ইজ়রায়েল-গাজ়ার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৮:২৩
হাখাম মুহম্মদ ইশা অল-ইশা।

হাখাম মুহম্মদ ইশা অল-ইশা। ছবি: সংগৃহীত।

ইজ়রায়েলি সেনার অভিযানে নিহত হল হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হাখাম মুহম্মদ ইশা অল-ইশা। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে কুখ্যাত হামলার মূল চক্রী ছিল এই ইশা। আজ ইজ়রায়েল প্রতিরক্ষা বিভাগ (আইডিএফ) সমাজমাধ্যমে ইশার মৃত্যুরখবর জানিয়েছে।

৭ অক্টোবরের হামলায় ১২০০ ইজ়রায়েলি নিহত হন। অন্তত ২৫০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যেরা। সেই ঘটনার জেরেই যুদ্ধ বাধে ইজ়রায়েল-গাজ়ার। সে দিনের হামলায় ইশার ঠিক কী ভূমিকা নিয়েছিল তা খোলসা করেনি ইজ়রায়েল। আইডিএফ শুধু জানিয়েছে, শুক্রবার সাবরা এলাকায় নিহত হয়েছে ইশা। তাদের দাবি, গাজ়া ভূখণ্ডে হামাসের শেষ জীবিত বড় মাপের নেতা ছিল ইশা। শুধু দল নয়, হামাসের সেনাবাহিনীও নিয়ন্ত্রণ করত এই নেতা। যুদ্ধপীড়িত গাজ়ায় হামাসের ভেঙে পড়া সংগঠনের পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ইজ়রায়েলি সাধারণ মানুষ ও সেনার উপরে হামলার নানা পরিকল্পনা করত সে।

পাশাপাশি, লেবাননের হেজবোল্লা নেতা আব্বাস অল-হাসান ওয়াহবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আইডিএফ। দক্ষিণ লেবাননে আইডিএফ-এর অভিযানে নিহত হয়েছে ওয়াহবি। দলের গোয়েন্দা বিভাগ ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব ছিল তার উপরে।

অন্য দিকে, গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা অব্যাহত। গত কালই গাজ়ায় সংঘর্ষবিরতির হতে চলেছে বলে ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজ়রায়েলের হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৯ জন শিশু। আকাশপথে একাধিক জায়গায় হামলা চালায় ইজ়রায়েল। তার মধ্যে রয়েছে জাবালিয়ার একটি বাড়ি ও গাজ়া শহরে শরণার্থীদের অস্থায়ী ঠিকানা একটি স্কুল। হামলা চলেছে নেটজারিম করিডরে খাবারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকাসর্বহারাদের উপরেও।

সম্প্রতি ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গাজ়ায় খাবারের লাইনে দাঁড়ানো নিরস্ত্র, অসহায়, বুভুক্ষু সাধারণ মানুষকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে তারা। বিশ্ব জুড়ে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এই অবস্থায় ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলি প্যালেস্টাইনিদের কাছে নিরাপদে খাবার পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। তবে কী ভাবে তা সম্ভব সেইপরিকল্পনা জানাননি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

hamas gaza

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy