যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় দ্রুত শান্তি ফেরাতে তৎপর বিশ্বের নানা মহল। এ বার এই দাবি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারস্থ হলেন ইজ়রায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা দফতরের অন্তত ছ’শো জন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। ট্রাম্পকে একটি চিঠির মাধ্যমে তাঁরা অনুরোধ করেছেন, ইজ়রায়েল সরকারকে যুদ্ধ থামাতে চাপ দিক আমেরিকার সরকার। এরই মধ্যে হামাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) যদি গাজ়ায় থাকা ইজ়রায়েলি বন্দিদের ত্রাণ পাঠাতে চায়, তাতে হামাস কোনও আপত্তি জানাবে না।
রবিবারই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্স মাধ্যমে জানান, রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। বৈঠকে তিনি রেড ক্রসকে অনুরোধ করেন যাতে গাজ়ায় থাকা ইজ়রায়েলি বন্দিদের কোনও ধরনের মানবিক সহায়তা পাঠায় তারা। হিব্রুতে লেখা ওই পোস্টে নেতানিয়াহু এ-ও জানিয়েছেন, গাজ়ায় ‘অনাহার, দুর্ভিক্ষ নিয়ে হামাসের মিথ্যাচার’ নিয়েও জুলিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। নেতানিয়াহুর দাবি, আদতে ইজ়রায়েলি বন্দিদের হামাস ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে না খাইয়ে’মারতে চাইছে।
ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি নস্যাৎ করে অবশ্য হামাস রবিবার বিকেলে দাবি করে, গাজ়ায় থাকা ইজ়রায়েলি বন্দিরা সেই খাবারই খায় যা সেখানকার সাধারণ মানুষ এবং ‘যোদ্ধারা’ খান। হামাস অবশ্য এ-ও জানিয়েছে, রেড ক্রসের তরফে পাঠানো ত্রাণ শত্রুপক্ষের বন্দিদের কাছে পৌঁছে দিতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। একই সঙ্গে তাদের দাবি, ইজ়রায়েলি বন্দিদের যেমন ত্রাণ পাঠানো হবে, তেমন ভাবেই নিশ্চিত করতে হবে যে গাজ়াবাসীও ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলার শিকার না হন।
এরই মধ্যে ইজ়রায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা দফতরের অন্তত ছ’শো জন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আর্জি জানিয়েছেন গাজ়ায় যুদ্ধ শেষ করার। তাঁদের মতে, ইজ়রায়েলের আরও কোনও ক্ষতি করতে পারবে না হামাস। তাই এ বার যুদ্ধ থামানো প্রয়োজন। সোমবারই ইজ়রায়েলি হামলায় ৯৪ জন নিহত হয়েছেন বলেজানিয়েছে হামাস।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)