Advertisement
E-Paper

হার্ভার্ডকে আবারও শাস্তি ট্রাম্প প্রশাসনের, এ বার কেড়ে নেওয়া হল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষমতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ছাত্রছাত্রী ও গবেষকের ‘আতিথেয়তা’ ও দেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ০২:৩০
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে নয়া হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিক্ষা দফতরের।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে নয়া হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিক্ষা দফতরের। — ফাইল চিত্র।

‘অনড়’ মনোভাবের জন্য আবারও ‘শাস্তির কোপ’ নেমে এল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে। এর আগে দু’দফায় ২০০ এবং ৪৫ কোটি ডলার অনুদান বন্ধ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ বার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হল। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নির্দেশ ‘বেআইনি’। তবে আমেরিকার নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়োম তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইন মেনে চলার ব্যর্থতার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁর ‘হুঁশিয়ারি’, এই পদক্ষেপ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যই ‘সতর্কতা’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ছাত্রছাত্রী ও গবেষকের ‘আতিথেয়তা’ ও দেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রাশাসনের নয়া নির্দেশ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের জন্যও ‘হুমকি’। নতুন নির্দেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ‘মিশন’ দুর্বল হয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, আমেরিকার বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল আগের শিক্ষাবর্ষে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। আমেরিকার প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যার মধ্যে ছিল নিয়োগ ও শিক্ষাদানে পরিবর্তন করা-সহ বেশ কিছু শর্ত। তবে সরকারের দেওয়া শর্ত মানতে রাজি ছিলেন না হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইহুদি বিদ্বেষ আটকানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে তবে মার্কিন প্রশাসনের শর্ত আসলে ‘বৌদ্ধিক বিকাশ নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা। মনে করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ‍্যালয় কর্তৃপক্ষের এই ‘মাথা নত’ না করা মনোভাবের জেরেই আবারও নেমে এল ‘কোপ’।

Havard University Donald Trump america
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy