পুলিশি অত্যাচার ও প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হংকংয়ে। এএফপি
তিন দিন ধরে বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল কাল রাতের মধ্যেই। কিন্তু সেই বিক্ষোভ তো শেষ হয়ইনি। উল্টে আজ সকাল থেকে কালো পোশাক পরা কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী দখল নেন বিমানবন্দরের ‘অ্যারাইভাল এরিয়া’র। আজ এমনই বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে হংকং বিমানবন্দর। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত শহর থেকে ছাড়া বা শহরে ঢোকার সব উড়ান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ ভোরের দিকে যে ক’টি বিমানের যাত্রীরা চেক ইন করে ফেলেছিলেন, শুধু তাঁরাই শহর ছাড়তে পেরেছেন। যে ক’টি বিমান হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল, হাতে গোনা সে ক’টিই হংকংয়ের মাটি ছুঁয়েছে আজ। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দর আসার রাস্তাও স্তব্ধ ছিল। ফের কবে উড়ান চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা-ও বলতে পারেননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল থেকেই সরকার-বিরোধী দেওয়াল লিখনে ছেয়ে গিয়েছে বিমানবন্দর চত্বর। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ বিস্তর। বিক্ষোভকারীরা লিখেছেন, ‘হংকং পুলিশ কিলিং আস’। কাল আর পরশুর বিক্ষোভে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি ধরপাকড় করতে বিক্ষোভকারীদের পরা কালো পোশাক পরে পুলিশ ভিড়ে মিশে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক মহিলা মুখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর রক্তাক্ত মুখের ছবি সোশ্যাল সাইটগুলিতে ভাইরাল। নয়া বিক্ষোভে ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
চিন সরকার অবশ্য আজও পুলিশের পাশেই দাঁড়িয়েছে। সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তুলনা করেছে তারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বোতল বোমা, ইট ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বেজিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy