৬০ বছর আগে এই মার্চেই রাতের জমাট অন্ধকারে লাল ফৌজের লাল চক্ষু এড়িয়ে পথে নেমে পড়েছিলেন তিনি। অচেনা, অজানা রুটে। কপালে কী লেখা রয়েছে, তা না জেনেই। সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা, বোন, ছোট ভাই আর তাঁর কয়েক জন অফিসার।
তিব্বতে তাঁর প্রাসাদ ছেড়ে পথে নেমে পড়া ছাড়া আর কোনও পথই সে দিন খোলা ছিল না ধর্মগুরু দলাই লামার সামনে। ৮ বছর আগেই বৌদ্ধ ধর্মাবলাম্বী স্বাধীন তিব্বতে লাল ফৌজ ঢুকিয়ে দেয় চিন। শুরু হয় অত্যাচার। নির্যাতন। তিব্বতের দখল নেওয়ার জন্য। লাল ফৌজকে রুখতে সে দিন গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলাই লামা। তাই তিনি টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন চিনের। ৬০ বছর আগে মার্চের সেই রাতেই পথে নেমে না পড়লে লাল ফৌজের হাতেই প্রাণ হারাতে হত তাঁকে। হয়তো তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পেতেন না।
সেই রাতে লাল সেনার পোশাক পরে পথে নেমেছিলেন দলাই লামা। তার পর মা, ভাই, বোন আর জনাকয়েক অনুগামী নিয়ে তাঁর দু’দিন, দু’রাত কেটেছিল অচেনা, অজানা পথে। কখনও পায়ে হেঁটে। কখনও বা ঘোড়ার পিঠে। আর ছিল ক’টা খচ্চর। যাদের পিঠে চাপানো ছিল এক মাসের মতো জল, খাবারদাবার, আনুষঙ্গিক আরও কিছু।